৪ মাসে সেমিস্টার, ৮ মাসে সেশন শেষ করার পরিকল্পনা ঢাবির

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাস এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আজ বুধবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি এ কথা জানান। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেই এ ধরনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি বাস্তবায়ন হলে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলে মনে করেন শিক্ষকরাও।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, করোনার কারণে চলমান সেশন জটিলতা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপরই আমরা আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেব। এ পরীক্ষাগুলোর ফলাফল অল্প সময়ের মধ্যে প্রকাশেরও প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ছয় মাসের সেমিস্টার চার মাস এবং বছরভিত্তিক সেশনকে আট মাস করার একটি আলোচনাও চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে মাসের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সামনে এ বাকি সময়ের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

করোনার কারণে গেল বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ক্ষতি পোষাতে বন্ধের কিছুদিন পর থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করলেও নানা কারণে এর বাইরে রয়ে গেছেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এগোতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি এটার পক্ষে। আমি মনে করি, এটা অবশ্যই ভালো পরিকল্পনা। এটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরাদের সেশনজটও কমে আসবে, তারা উপকৃত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পর্যন্ত এখনো যে সময় বাকি আছে সে সময়ের মধ্যে এসব পরিকল্পনার প্রস্তুত করা সম্ভব।

এদিকে, দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং ২৩ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে সব সেক্টরে ক্ষতি হয়েছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শিক্ষাখাতে তুলনামূলক এর প্রভাবটা বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেশনজট কাটানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। তার মধ্যে এটিও একটি। আগে তো জীবন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। তারপর এসব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।