ভাসমান মানুষদের জন্য রেলস্টেশনে মানবিক ইফতার

লকডাউন
রেলস্টেশনে মানবিক ইফতার

নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও লকডাউনে বিপর্যস্ত ভাসমান মানুষদের জন্য মাসব্যাপী মানবিক ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। মাসব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে প্রতিদিন এখানে শতাধিক ভাসমান মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, চৌমুহনী রেলস্টেশনে এই মানবিক ইফতার বিতরণের উদ্যোগ নেয় স্বেচ্ছাব্রতিদের সংগঠন ‘আমরা গোলাপ’। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক আয়োজনটি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনের মেন্যুতে রয়েছে বুট, পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, খেজুর ও মুড়ি। উক্ত আয়োজনে প্রতিদিন ৩ হাজার ২শ টাকা ব্যয় করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক সমাজকর্মী শাহেদ মুনিম ফয়সাল নিজে থেকে শুরু করলেও মহতী এই উদ্যোগের সাথে ক্রমান্বয়ে সংযুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। গত ৭ এপ্রিল থেকে ধারাবাহিক এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া “সার্ভিস ফর হিউম্যান বিয়িং অর্গানাইজেশন (মানুষের জন্য সেবা)’ এতে স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতায় রয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের জন্য শাহেদ মুনীম ফয়সাল একটি ভাসমান লঙ্গরখানা চালু করে। সেসময়ের বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম ওমর ফারুক বাদশা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলমের সহযোগিতায় তিনি ভাসমান লঙ্গরখানাটি চালিয়ে নেন। এছাড়াও তখন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা দিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেছে। টানা ১’শ ৭ দিন খাবার সরবরাহ করা হয় ওই ভাসমান লঙ্গরখানায়। সেই থেকে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তারা ভাসমান মানুষদের জন্য মানবিক ইফতারের উদ্যোগ নিয়েছে।

আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক শাহেদ মুনিম ফয়সাল জানিয়েছেন, পুরো রমজান মাসব্যাপী তারা এই আয়োজনটি অব্যাহত রাখতে চান। তিনি জানান, যেকোনো ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান চাইলে তাদের আয়োজনে অংশ নিতে পারবে। নিজে ইফতার সরবরাহ করে অথবা বিকাশের মাধ্যমে সহযোগিতা পাঠিয়ে অন্যরা এতে অংশ নিতে পারবে। ০১৮৬৬-৩৭৩৩৪৫ (বিকাশ পারসোনাল), ০১৮২২৩৭১৯৮৬-৬ (রকেট পারসোনাল) নাম্বারে সহযোগিতা পাঠানো যাবে। এছাড়া যেকোনো বিষয়ে জানতে ০১৮৭৩৭০০২০০ নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।