‘শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে’

লকডাউন
ওয়েবিনারে বক্তারা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে শিক্ষা বিমুখ হয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন অনলাইনে ক্লাস হলেও হয়নি পরীক্ষা। যে কারণে সেশনজটের ভয়সহ নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যাতে হতাশ হয়ে না পড়ে সেজন্য শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানুষিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজ করতে হবে।’

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে ‘করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ বিষয়ে এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.রাজিনা সুলতানার সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক বুশরা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.অরুণ কুমার গোস্বামী। এতে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও মনোবিজ্ঞানী ইফরাত জামান। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ওয়েবিনারে অংশ নেন।

করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার ভাবনা এবং করনীয় বিষয়ে অধ্যাপক তহমিনা ইসলাম বলেন, করোনার কারণে আমাদের বসে থাকলে চলবে না। জীবন চলতে সব সময়ই কিছু না কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের, করোনা ঠিক এতটুকুই বাধা আমাদের জন্য। এই সময়ে হাত পা গুটিয়ে না থেকে নিজেদের উন্নতির সাধনে কাজ করতে হবে যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্যদের থেকে আমরা এগিয়ে থাকতে পারি। যা আগামী সময়ে আমাদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক হয়।

করোনা পরিস্থিতিতে মানুষিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মানুষিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে করনীয় বিষয়ে ইফরাত জামান বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে আবদ্ধ অবস্থায় দিন পার করছে আমাদের শিক্ষার্থীরা। ফলে নানা রকম অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে এলোমেলো চিন্তা ভর করছে তাদের মাথায়। সময় পার করতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আসক্তি হয়ে যাচ্ছে এবং অনলাইনে গেমসে আটকে যাচ্ছে। একটুতে একটু হলেই তারা অস্বাভাবিক আচরণ করে বসছে। যেটা শিক্ষার্থীদের মানুষিক স্বাস্থ্যের অবনতির কারণেই ঘটছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সকলেই অধিক সচেতন হতে হবে।