খুবির এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধানের দায়িত্বে ড. আব্দুল্লাহ হারুন

শিক্ষক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন একই ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯০ এর ২৯(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৩ বছরের জন্য তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এ পদে এ দায়িত্ব পালন করবেন ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। গত ১৯ এপ্রিল অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

সূত্রে জানা গেছে, দেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিন। অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ একাডেমি অফ সাইন্সেস গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে এনভায়রনমেন্ট বিষয়ে এই এওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকার পরও অতিরিক্ত একটি এমফিল ডিগ্রি, আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশিত ১৬টি গবেষণা প্রবন্ধসহ পিএইচডি ডিগ্রির ডিফেন্স সম্পন্ন করার পর তিনি উক্ত ডিসিপ্লিনে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে এমফিল এবং ২০০২ সালের নভেম্বরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।

এ পর্যন্ত দেশি বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত তার গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৫০ এর অধিক। তিনি এ পর্যন্ত ১২টি সামুদ্রিক ও ৩৯টি মিঠা পানির শৈবাল বাংলাদেশ থেকে একক এবং যৌথভাবে নিউ রেকর্ড করেছেন । তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর গবেষণা ফেলো ছিলেন। তিনি এ পর্যন্ত ৩টি পিএইচডি, ৪৪টি এমএসসি এবং ৫৩টি গ্রাজুয়েশন থিসিসের গবেষণা তত্বাবধানের পাশাপাশি দেশে বিদেশে ১৭টি পিএইচডি, ৩টি এমফিল ও ২৯ এমএসসি থিসিসের বহিস্থঃপরীক্ষক ছিলেন।

তিনি ডিসিপ্লিন প্রধানের দায়িত্ব পালনকালে সকলের পরামর্শ এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।