আক্ষেপ বীরবিক্রম বাবা শওকতের, যা বলছেন

ডা. সাঈদা শওকত ও বাবা শওকত আলী সরকার

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে আইডি কার্ড নিয়ে ঘটে যাওয়া ডা. সাঈদা শওকত জেনির সঙ্গে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন তার বাবা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম।

ডা. জেনির বাবা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর এই সময়ে করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধাদের মধ্যে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া বাকবিতণ্ডার ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনটি পক্ষই করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা। আমার মেয়ে চিকিৎসক হিসেবে তার পরিচয় দেওয়ার পরও কেন যে তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হলো তা আমার বোধগম্য নয়। 

ডা. জেনির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তার বাকবিতণ্ডার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম আক্ষেপ করে বলেন, আমার মেয়ে পরিচয় দেওয়ার পর তাকে ভুয়া বলায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তো পোশাক দেখেই কয়েকটি পেশার মানুষকে চিহ্নিত করতে পারি।

সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি পেশার লোকদের পোশাকই বলে দেয় তাদের দায়িত্ব কী। তেমনি অ্যাপ্রোন পরলে আমরা বুঝতে পারি ওই ব্যক্তি চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত। আমার মেয়ের পরনে অ্যাপ্রোন ছিল, তাতে তার পরিচয়ও লেখা ছিল। গাড়িতে স্টিকার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয়নও সাঁটানো ছিল। এরপরও তার সঙ্গে এমন আচরণ এটি অনাকাঙ্ক্ষিত। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সব পেশার লোকজন মিলেমিশে সরকারি দায়িত্ব পালন করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাঈদা শওকত জেনির বাবা। বর্তমানে তিনি চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শওকত আলী সরকার বীরবিক্রমের চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি বড়। তার দ্বিতীয় মেয়ে বুয়েটের শিক্ষক। তিনি বর্তমানে পিএইচডি করতে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। তৃতীয় মেয়ে ডেন্টাল চিকিৎসক। চতুর্থ মেয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনিও উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। ছোট দুই ছেলে বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছে।

প্রসঙ্গত,গত রোববার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে ডা. সাঈদা শওকত জেনির বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।