ডাক্তার-পুলিশ-মেজিস্ট্রেটের ঝামেলা কি শ্রমিক মারার আলোচনাকে ঢাকার জন্য?

আচ্ছা ডাক্তার, পুলিশ ও মেজিস্ট্রেট এই তিন পেশার ঝামেলাটা কি বাঁশখালীতে গুলি করে শ্রমিক মারা আর করোনা সংকরণের ভয়াবহতার আলোচনাকে ঢাকার জন্য করা হয়েছে নাকি? না হয় এমনভাবে, এমন সময়, এমন ভাবে গায়ে পরে ঝগড়া লাগার কথা না।

মানুষের মনোযোগকে অন্যত্র সরিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এইটা বেশ সফল পদ্ধতি বলে মনে হচ্ছে। দেশটাতো এখনো সভ্য হয়নি। এই দেশে যেকোন বর্বর প্রিমিটিভ আচরণ সম্ভব।

বাঁশখালিতে কিছু শ্রেমিককে পাখির মত পুলিশ গুলি করে মারল সরকার কিংবা ওই কোম্পানি কিংবা পুলিশের কাছ থেকে এখনো ক্ষমা প্রার্থনা করা হলো না। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের ঘোষণা দিল না।

ইউরোপ আমেরিকাতে এরকম একটা ঘটনা হলে ঘটনা যেভাবেই ঘটে থাকুক একটা দায়িত্বশীল জায়গা থেকে প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করত। তারপর একটা সুষ্ঠ তদন্তের ব্যবস্থা করত।

অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আমি বুঝতে পারছি না করোনা টেস্ট কেন এত কমে গেল? ভারতে প্রতিদিন ১৫ লক্ষ টেস্ট করাচ্ছে। আমাদেরতো ন্যূনতম ১ লক্ষ করানো উচিত। ১ বছর পরেও আমরা সেই ৩০-৪০ হাজারেই আটকে আছি। সেটাও এখন অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লকডাউনের জন্য পুলিশের হয়রানির ভয়ে হয়ত এখন অনেকেই টেস্ট করাতে যাচ্ছে না। টেস্টিংটা আরো সহজলভ্য করা উচিত। যারা টেস্ট করাতে পারছে না অথচ করোনার লক্ষণ আছে তারা কিন্তু করোনা ছড়িয়ে বেড়াবে। সেক্ষেত্রে লকডাউন কতটা কাজ করবে?

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়