প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ৪৫ শতাংশ বিতরণ করবে ‘নগদ’

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের প্রায় ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার পরিবারকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

কোভিডের শুরুর দিকে গত বছর ঈদের আগেও একইভাবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ৩৪ লাখ ছয় হাজার দরিদ্র নাগরিককে ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’ দেওয়া হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ৮৩৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে, সবচেয়ে বড় অংশ ১৪ লাখ ৯৭ হাজার পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর অর্থসহায়তা বিতরণ করবে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’, যা মোট পরিবারের ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। প্রথমবার ‘নগদ’ ১২ লাখ ৯০ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা দেয়।

এ ছাড়া বিকাশের মাধ্যমে ১০ লাখ ৫৪ হাজার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, যা মোট পরিবারের ৩১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছর বিকাশ ৯ লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা বিতরণ করেছিল।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এমএফএস সেবা রকেট এবার সাত লাখ ৮৮ হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পৌঁছে দেবে। আগেরবার তাদের অঙ্ক ছিল সাত লাখ ছয় হাজার। আগেরবার শিওরক্যাশ চার লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিলেও এবার যেহেতু তাদের সেবা বন্ধ হয়ে গেছে, সে কারণে তাদের গ্রাহককেই এবার বাকি তিন অপারেটরের মধ্যে ভাগ করে করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এ ক্ষেত্রে শিওরক্যাশের চার লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের অর্ধেক দেওয়া হয়েছে নগদকে, ৩০ শতাংশ বিকাশকে এবং ২০ শতাংশ রকেটকে। আগের বারের মতো এবারও পরিবার প্রতি আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

গ্রাহকের আড়াই হাজার টাকা ক্যাশ-আউটের জন্যে যে খরচ, সেটিও গ্রাহক তাঁর মোবাইলে পেয়ে যাবেন। ফলে গ্রাহকের বাড়তি কোনো খরচ হবে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের জিটুপি পদ্ধতিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এবারও প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে এই ভাতা বিতরণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।