‘আবাসিক কওমি মাদ্রাসায় শিশুধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে’

প্রতীকী

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশনা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন, বেশিরভাগ শিশুধর্ষণের ঘটনা ঘটে কওমি মাদ্রাসায়। সেসব মাদ্রাসা আবাসিক। অন্য জায়গাতেও হচ্ছে। আলিয়া মাদ্রাসায় খুবই কম হয়। পুরুষশিশু নির্যাতনের বিষয়টি আইনে স্পষ্ট হওয়া যেমন দরকার, তার চেয়ে আইনের প্রয়োগ বেশি প্রয়োজন। কেন শিশু নির্যাতনের অভিযোগ করেও আবার বলছে হয়নি, তা জানা দরকার।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী বলেন, সচেনতা বাড়াতে হবে শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কারিকুলাম নিয়ে কাজ করতে হবে। কারিকুলাম মানুষ চোখে দেখে না, বই চোখে দেখে, সেখানে পরিবর্তন আনতে হবে। পরিবর্তন আনতে হবে টিচিং অ্যান্ড লার্নিংয়ে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে শিশুদেরও সেলফ ডিফেন্স শেখাতে হবে। রাজনৈতিক ইন্টারফেয়ার থাকা যাবে না। নির্দশনা দিতে হবে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে জরুরি মোটিভেশন পলিসি গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কমিটি করে দিতে হবে।

নির্যাতন প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করার সুযোগ রাখতে হবে। শিক্ষার্থীর সুবিধাজনক জায়গায় অভিযোগ বক্স রাখতে হবে। আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে সার্বক্ষণিক প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সঙ্গে অভিভাবকদের যোগাযোগ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। সিভিল সোসাইটি, এনজিও ও গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।