সিআইডিকে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা প্রতারণার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

শিক্ষক
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো পর থেকেই একটি প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকদের কাছ থেকে জালিয়াতি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মাধ্যমে প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হয়। এর পর থেকেই একটি জালিয়াতি চক্র দেশের বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে ফোন দেওয়া শুরু করে। কখনও নগদের এজেন্ট, কখনও শিক্ষা কর্মকর্তা বা প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে পিন নাম্বার, ওটিপি বা উপবৃত্তির টাকা কম গেছে বলে তাদের কাছে বিভিন্ন তথ্য চায়। আরও টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে বলে ওটিপি চাওয়া হয়। অনেক অভিভাবক না বুঝে সব তথ্য প্রতারকদের দিয়ে দেন। এরপর অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

বিষয়টি উপবৃত্তি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর তারা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে তা জানায়। এছাড়া সবাইকে সর্তক থাকতে কিছু নির্দেশনা দিয়ে দুই দফা চিঠি জারি করা হয়।

প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ইউসুফ আলী বলেন, প্রতারক চক্র উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর জানার পরপরই আমরা নগদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে সবাইকে পিন ও ওটিপির ব্যাপারে সর্তক থাকতে বলেছি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, উপবৃত্তির টাকা একটি প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে, এটা জানার পর মন্ত্রণালয় ও উপবৃত্তি প্রকল্পকে আরও সতর্কভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ প্রতারণার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে সিআইডিকে অনুরোধ করেছি।