দিনমজুরের ছেলের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন প্রতিমন্ত্রী

মেডিকেল
বাবা-মায়ের সঙ্গে সুমন

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তাড়িয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর মো. মিন্টুর ছেলে মো. সুমন। সে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে অভাবের সংসারে তার মেডিকেলে পড়ার অনিশ্চয়তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর তার মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

শনিবার রাতে সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাখায়াতুল আলমের মাধ্যমে সুমন ও তাঁর পরিবারের হাতে মেডিকেলে ভর্তির ২০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এরপরও সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনায় আর্থিক সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা গেছে, সুমন পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে সুমন এসএসসি পরীক্ষায় সরিষাবাড়ী আরডিএম মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। পরে ময়মনসিংহের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসিতে বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন। অভাব-অনটনের সংসারে মো. সুমন বন্ধুদের কাছ থেকে বই ধার নিয়ে ও প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছেন। বাবা মো. মিন্টু হিসেবে কাজ করে সংসার চালান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানও সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনার যাবতীয় সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া সরিষাবাড়ীর ফাহিমা আক্তার নামের এক গৃহিণী সুমনের মেডিকেলে পড়াশোনা বাবদ প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিল জানিয়ে সুমন বলেন, এখন আমার ভর্তির চিন্তা দূর হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান স্যার আমার মেডিকেলে ভর্তির ২০ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আমার পড়াশোনায় আর্থিক সহযোগিতা করার।

সুমনের মেডিকেলে ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, সুমনের পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সুমনের পড়াশোনায় আর্থিক সহায়তা করব।