রিকশাচালকের ছেলের মেডিকেলে চান্স, ভর্তি অনিশ্চিত

মেডিকেল
বাবা-মা’র সঙ্গে নিক্কন রায়

দিনাজপুর সদরের সুন্দরবন ইউনিয়নের সুন্দরবন গ্রামের খনিজ চন্দ্র রায় ও মমতা রানী দম্পতির নিক্কন রায়। নিক্কনের বাবা খনিজ চন্দ্র রায় পেশায় একজন রিকশা চালক। মা মমতা রানী গৃহিণী। দুই ছেলের মধ্যে ছোট নিক্কন। এবছর মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে সে। তবে হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে নিক্কনের মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে অনিশ্চিত দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় ভীষণ আগ্রহী নিক্কন রায় । সে আত্রাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করে। আর ২০২০ সালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় সে।

তার বাবা রিকশা চালিয়ে প্রতিদিন যে আয় করেন তা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের তিন বেলা খাবার জোটে না। তারপরও তিনি নিক্কনকে স্কুল-কলেজের লেখাপড়া করিয়ে এতদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। তবে হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নেওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর তাই মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েও এখন চরম হতাশায় পড়েছে অদম্য মেধাবী নিক্কন রায়।

এ বিষয়ে নিক্কনের বাবা খনিজ চন্দ্র রায় বলেন, ছেলেটাকে ঠিকভাবে লেখাপড়ার খরচ দিতে না পারলেও সে নিজের ইচ্ছা শক্তিতে ও কঠিন পরিশ্রম করে লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছে। এখন ছেলে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও ভর্তি হতে অনেক টাকা-পয়সা লাগবে প্রয়োজন। এত টাকা তিনি কিভাবে জোগাড় করবো ভেবে পাচ্ছি না।

তিনি ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালীদের সহায়তা চেয়েছেন।