তরমুজ চাষে বিঘা প্রতি ৫০ হাজার টাকা লাভের আশা

তরমুজ
তরমুজ

জয়পুরহাট শহরের পাঁচুরচক ও হিচমি খুলি পাড়া এলাকায় এবার চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের তরমুজ। পাঁচুরচক এলাকার মৃত আব্দুর রশীদ মাস্টারের ছেলে রুহুল কুদ্দুস প্রায় ছয় বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এর মধ্যে পাঁচুরচক এলাকায় দুই বিঘা ও হিচমি খুলি পাড়া এলাকায় চার বিঘা জমিতে অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে ইয়েলো বার্ড, মধুমালাসহ বেশ কয়েক প্রকার তরমুজ চাষ করেছেন । ভালো দাম পেলে লাভের আশা করছেন তরমুজ চাষি রুহুল কুদ্দুস।

তরমুজ চাষি রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছে, পাঁচুরচকে দুই বিঘা ও হিচমিতে চার বিঘাসহ মোট ছয় বিঘা জমিতে এবারে তরমুজ চাষ করেছি। তরমুজ চাষে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ফাল্গুন মাসে এসব চারা রোপণ করে মানচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরে মাচা তৈরি করার কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রতি বিঘায় গড়ে ১১শ চারা রোপণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রতিটি চারা গাছে দুটি করে ফল পেলে লাভের আশা করা যাবে। তরমুজের জালি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য পলি দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। পোকার কারণে অনেক তরমুজের জালি নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক স.ম. মেফতাহুল বারি জানান, জয়পুরহাটে চলতি মৌসুমে অন্তত একশত বিঘার বেশি জমিতে মাচায় চাষকৃত তরমুজ চাষ হচ্ছে। এসব জাতের তরমুজে বিঘা প্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভের আশা করা যায়। এসব তরমুজ দেড়িতে বাজার জাত করার কারণে দামটাও থাকে চড়া। কৃষি বিভাগ মাচায় চাষকৃত তরমুজ চাষ করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। মাচায় চাষকৃত তরমুজ চাষি পাঁচুরচকের রুহুল কুদ্দুসসহ সকলেই লাভবান হতে পারেন এমনটাই আশা কৃষি কর্মকর্তাদের।

এদিকে পাঁচুরচক এলাকায় এই প্রথম তরমুজ চাষ হওয়ার ফলে দূর দূরান্ত থেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ দেখতে ছুটে আসেন তরমুজ ক্ষেতে। দেখতে আসা এলাকার আশিক হোসেন নামের এক যুবক জানান, এলাকায় এই প্রথম তরমুজ চাষ হয়েছে সেজন্য দেখতে এসেছি। এখানে সবুজ তরমুজের পাশাপাশি হলুদ জাতের তরমুজ চাষ হওয়ায় আকর্ষণ একটু বেশি। সকলে দেখতে আসছে তাই আমিও আসছি।