৪১তম বিসিএস লিখিত

এখন থেকে প্রস্তুতি নিন, ২০% এগিয়ে যাবেন

গবেষক

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমনের মধ্যে গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ওইদিন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রাজধানীর একটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, আশা করা যাচ্ছে পরীক্ষার দুই মাসের মধ্যে ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। এর আগেও প্রকাশ হতে পারে।

বিগত চারটি বিসিএস পরীক্ষা বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলের পর লিখিত পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী, ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আরও ৫ মাসের মতো সময় পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

তীব্র এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। সর্বোপরি কিভাবে গুছিয়ে পড়তে হবে— সেসব বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. এমরান হুসাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবদুর রহমান—

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর একজন চাকরিপ্রত্যাশীর পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: বর্তমানে চাকরির বাজার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। এজন্য চাকরিপ্রার্থীদের পড়ালেখার জন্য একটা রুটিন বা সঠিক পাঠ পরিকল্পনা করা যেতে পারে। পড়ালেখার জন্য প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সেখানে বাংলা গণিত এবং ইংরেজির জন্য চার ঘণ্টা। বাকি সময় সাধারণ জ্ঞান এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য রাখতে পারলে ভালো হয়। কেননা চাকরির পরীক্ষায় বাংলা গণিত এবং ইংরেজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি বিষয়ই অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করে দেয়। এই ছাড়াও তারা যেহেতু চাকরীর পরীক্ষায় নতুন তাই বিগত ৫ বছরের পরীক্ষার প্রশ্নের ফলো করতে হবে।

তাছাড়া গুছিয়ে লিখতে পারার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। হয়তো প্রশ্নগুলো কমন পড়বে না কিন্তু টপিক এবং সিলেবাস কমন পড়বে। তাই টপিকগুলো নোট করে গুছিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। ভোরবেলাই পড়াশোনা করার উপযুক্ত সময়। কেননা এই সময়ে পরিবেশটা নির্মল, শান্ত থাকে। তাই চাকরি প্রত্যাশীরা চাইলে এই সময়ে পড়ালেখা করতে পারে। তখন সহজেই মনে থাকবে। টপিক গুলো বুঝে প্রস্তুতি নিতে পারলে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যাদের টার্গেট বিসিএস কিংবা সমমানের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার, তারা নিজেদের প্রস্তুতির জন্য এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারত্বের হার অনেক বেশি। চাকরির প্রার্থীর তুলনায় চাকরির আসন সংখ্যা খুবই কম। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে- “survival of the fittest”. অর্থাৎ এইখানে যোগ্যরাই বেঁচে থাকবে আর অযোগ্যরা বাদ পড়বে। এখন যারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে তাদের মূল লক্ষই হলো জীবিকার তাগিদে পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরি পাওয়া। যেহেতু চাকরির প্রার্থী অনুযায়ী আসন সীমিত তাই তাকে প্রস্তুতিটা নিতে হবে ব্যাপক মাত্রায়। কারণ এইখানে সবাই চাই চাকরি করতে। তাই টিকে থাকতে হলে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে এবং নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশুনা করতে হবে।

আর এই ক্ষেত্রে যদি প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হয় তাহলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি চাকরির জন্য বাংলা, অংক, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে হবে? এই জন্য যে উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়ভিত্তিক চাকরি রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে চাকরির আসন কম। তাই দেখা যায় সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সকল চাকরিতে প্রতিযোগিতা করে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরির জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বিসিএসের লিখিত প্রস্তুতি নিয়ে কিছু পরামর্শ দিবেন?
ড. এমরান হুসাইন: আমি মনে করি বিসিএস এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ও সবচেয়ে সহজ হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা হচ্ছে অনেকটা ভাগ্য এবং আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। বিসিএস প্রত্যাশীরা প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির জন্য যতটুকু সময় পায় রিটেনের জন্য তার ১/৩ ভাগও পায় না। অথচ ক্যাডার পাবার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে একটা সুপার-ডুপার রিটেন পরীক্ষা দেওয়া এবং খুবই ভাল মার্কস অর্জন করা। সুতরাং প্রিলিমিনারি প্রস্তুতিটা এমনভাবে নিতে হবে যাতে করে রিটেনের প্রস্তুতিটাও এগিয়ে থাকে। আমি মনে করি প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির সময় যদি আপনি তথ্যগুলো ভালভাবে মনে রাখতে পারার মত করে পড়েন, মানে আপনি এমন ভাবে পড়বেন যেটাকে বলে “টুটস্ত” (প্রশ্ন করা মাত্রই অপশন না খুঁজে ছট করে উত্তর দিতে পারার মত করে বুঝে মুখস্থ করা) তাহলে রিটেন এর ৭০% প্রস্তুতি আপনার প্রিলিমিনারির সময়ে হয়ে যাবে। আর আপনি শুধু রিটেনের সময় এই তথ্যগুলোকে আপনার মত করে সাজিয়ে লিখবেন। একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী তথ্যে সমৃদ্ধ থাকলে সে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আর এইটা পারা উচিত। সুতরাং নিজেকে তথ্যে সমৃদ্ধ করেন।

আর ভাইভাতে যে প্রশ্ন করা হয় সাধারণত তা কমন পড়ে না! তারপরও কিছু সাধারণ প্রশ্ন ভাইভাতে সাধারণত প্রায়ই করা হয়ে থাকে। যেমন- ‘আপনার সম্পর্কে বলুন’, ‘আপনি কেন এ পদে কাজ করতে চান’, ‘আপনাকে কেন যোগ্য মনে করেন’, ‘আপনাকে কেন আমরা নেবো’, ‘আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো বলুন’- এমন টাইপের কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ভালো। এতে এসব প্রশ্ন করা মাত্রই আপনি চিন্তা ছাড়াই গুছিয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। সেইসাথে আপনি যে পদে আবেদন করেছেন, সে বিষয় সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় পড়াশোনা করে যাওয়া ভালো। অর্থাৎ আপনি যে কাজ করতে চাচ্ছেন, তাতে আপনার যে যোগ্যতা-দক্ষতা রয়েছে বা প্রয়োজন তা কতটুকু পূরণ করতে আপনি সক্ষম, তাও আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে। ভুল-ত্রুটির বাইরে গিয়ে নিজেকে উপস্থাপন আপনার যদি কোন মুদ্রাদোষ থাকে যেটা দৃষ্টিকটু বা কোনো ধরনের দুর্বলতা, যেটি আপনার চাকরি প্রাপ্তিতে বাধা বা নিজেকে ছোটভাবে উপস্থাপন করবে, সেটি যেন ইন্টারভিউ বোর্ডে চলে না আসে, তা খেয়াল করুন। এজন্য দ্রুতই নিজের খারাপ দিকগুলো চিহ্নিত করে তা পরিত্যাগ করতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: প্রিলি শেষ করার পর লিখিত পরীক্ষার জন্য ক্যাডার প্রত্যাশীদের পড়ালেখার পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?
ড. এমরান হুসাইন: যেহেতু পিএসসির সম্মানিত চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রতিবছর একটি করে বিসিএস সম্পন্ন করবেন। সেই হিসেবে প্রিলির পর লিখিত পরীক্ষার জন্য একজন শিক্ষার্থী বেশি সময় পাবে না। লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রথমেই সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) থেকে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস থেকে ছয়টি বিষয়ের নম্বর বণ্টন ও বিষয়ভিত্তিক টপিকগুলো গুছিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। সিলেবাসের বড় পরিসর দেখে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। পুরো সিলেবাস ৫০-৬০ দিনে ভাগ করে একদিক থেকে পড়াশোনা করতে হবে।

বিগত চারটি বিসিএস পরীক্ষা বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলের পর লিখিত পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় পাওয়া যায়। প্রতিদিন সে অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে পড়তে হবে। শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যবই ও রেফারেন্স বইগুলো মিলিয়ে সিলেবাসের বিষয়ভিত্তিক টপিকগুলো ক্লিয়ার করে নিতে হবে।

বিগত বছরের পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, মানবিক এবং ব্যবসার শিক্ষার্থীরা ম্যাথ এবং ইংলিশে খুব খারাপ করে। তারা এই বিষয়গুলোতে খুবই দুর্বল তাই তাদেরকে সায়েন্স রিলেটেড টপিগুলো এবং বিশেষ করে ইংলিশ এবং ম্যাথ এর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এই বিষয়গুলো প্রতিদিন তার পড়ার রুটিনে রাখতেই হবে। আর সায়েন্স এর শিক্ষার্থীরা ম্যাথ এবং ইংলিশে খুব ভালো করে তাই তারা গুরুত্ব দিবে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশ বিষয়াবলীর উপরে। ইংরেজির প্রস্তুতিতে নিয়মিত ১/২ পেজ ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং অনুশীলন করতে হবে।

এইক্ষেত্রে টপিকগুলো হতে পারে Traffic jam, Global warming, distance between Bangladesh and Pakistan, Corruption সহ ইত্যাদি টপিকগুলো নিয়ে লিখতে পারে। এরপর একজন ইংরেজি এক্সপার্টকে দিয়ে যাচাই করিয়ে নিতে পারলে ভালো হয়। দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় অংশের পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বাংলা ও ইংরেজি খবর দেখে অনুবাদ চর্চা করতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (চলতি বছর), দৈনিক সংবাদপত্র (প্রথম আলো ও The daily star) ও অন্যান্য বিষয়-সংশ্লিষ্ট রেফারেন্স বই থেকে যত বেশি সম্ভব তথ্য-উপাত্ত নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

এক কথায় কোডিং সিস্টেম করে গুছিয়ে পড়তে হবে। টপিকগুলো সহজে খুঁজে পেতে প্রত্যেক বিষয়ভিত্তিক আলাদা সিট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আরও সহজে টপিকগুলো খুঁজে পেতে একটা মেইন সিট বা (main of resource) তৈরি করতে পারে। এইভাবে যদি গুছিয়ে পড়াশোনা করতে পারে তাহলে আমি মনে করছি, তার ২০% পড়া এগিয়ে যাবে। বিদেশে একটা প্রবাদ আছে- “Well began is half done.”

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পরীক্ষার্থীরা লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে কোন কোন বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেবে?
ড. এমরান হুসাইন: উত্তরপত্রে আপনার লেখা হতে হবে তথ্যবহুল। যেমন- একটি বিষয়ের গুরুত্ব আলোচনা করার সময় স্কুল-কলেজ লেভেলের মতো গতানুগতিকভাবে না লিখে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক গুরুত্বগুলো গবেষণাধর্মী তথ্য, উপাত্ত ও উদ্ধৃতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রশ্নের মূল উত্তর দিতে হবে লেখার মাঝামাঝি সময়ে প্রথমে ভূমিকা দিয়ে শুরু করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে আপনার জ্ঞানের চেয়ে সৃজনশীলতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই যত বই বা সূত্র থেকে যত বিশেষভাবে তথ্য উপস্থাপন করতে পারবেন, প্রতিযোগিতায় আপনি ততই এগিয়ে থাকবেন। লিখিত পরীক্ষার প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব বেশি দিতে হবে কারণ প্রিলি ছিল মাত্র একটা এডমিট কার্ড। লিখিত পরীক্ষায় কেউ যদি ৯০০ নম্বরে ৫৫০ এবং ভাইভাতে ১৫০ অথবা কেউ যদি ১২০ ও পায় তাহলে সে নিশ্চিত ক্যাডার। এর কম পেলে নন-ক্যাডার চাকরী পাবে। তাই লিখিত পরীক্ষায় ভালো করে তথ্যবহুল ও সৃজনশীল লেখা লিখতে হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কোচিংয়ে ভর্তি না হয়ে কিংবা প্রস্তুতি সহায়ক বইগুলো পড়া ব্যতীত চাকরি পাওয়ার সুযোগ কতটুকু?
ড. এমরান হুসাইন: কোচিং সেন্টার কোন শিক্ষার্থীকে চাকরি দিতে পারবে না; যদি তার মাঝে সিরিয়াসনেস না থাকে। তাই আগে আমাদের শিক্ষার্থীদের সিরিয়াসনেস হতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে তার গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি কিন্তু কোচিংকে ইগনোর করছি না! কারণ দেখা যায়, কোচিং করলে একটা শিক্ষার্থীর মাঝে ডিসিপ্লেন তৈরি হয়। কারণ সেখানে টাইম টু টাইম পরীক্ষা দিতে হয়, লেকচার শুনতে হয়। তাই কোচিং কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। তবে চাকরি পেতে হলে অবশ্যই সিরিয়াসনেস হতে হবে।

আরেকটি বিষয় চাকরির যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সহায়ক বই এর কোন বিকল্প নেই। বাজারে শত শত বই। জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন দিয়ে কথা, কোথায় থেকে কিভাবে অর্জিত হল সেটা বড় কথা নয়। বই বড় কথা না, কথা হল আপনার মাঝে সিরিয়াসনেস কেমন। আর অর্জিত জ্ঞানটাই আসল। অনেকেই বারবার জিজ্ঞেস করছেন কি বই পড়বেন, কোন বই ভালো, কোন বই থেকে বেশি কমন পড়ে? আসলে বই কোন বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছেন আপনি। সবকিছু নির্ভর করবে আপনার ওপর। আর হে আপনার মাঝে যদি সিরিয়াসনেস থাকে তাহলে একটি ভালো মানের বই অনুসরণ করলেই হবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক সহায়ক বই রয়েছে। আর আমরা জানি আপনি নিজেও এরকম বই লিখেন। এজন্য আপনার লেখা বই কেন চাকরিপ্রত্যাশীরা বেছে নেবেন?
ড. এমরান হুসাইন: আমার বইগুলোর আলাদা কনসেপ্ট আছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো গুছিয়ে দেওয়া আছে। তাছাড়া আমার বইগুলো অন্য সবার বইগুলো থেকে আলাদা। ভিন্ন কিছু শিখতে পারবে আমার বইগুলোতে আমি আশা করছি। এছাড়াও যেসব টপিকে শিক্ষার্থীরা দুর্বল সেসব জায়গাগুলোকে ভিন্ন মাত্রায় এবং সহজলভ্য করে উপস্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যদি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো প্রস্তুতি নিতে চায় তাহলে আমার বইগুলো তাদের জন্য সহায়ক হবে। আর আমার বইগুলোতে মুখবন্ধ লিখেছেন বাংলাদেশের সুনামধন্য এবং সুপ্রতিষ্ঠিত মন্ত্রী-এমপিসহ ১০ বিজ্ঞজন। এছাড়াও ২১ জন মনীষী বইগুলোর উপর মন্তব্য লিখেছেন যারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সুনামধন্য।

[তিন-চার মাসে বা অল্প সময়ে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ড. এমরান হুসাইনের কিছু রেফারেন্স গ্রন্থ রয়েছে- যেগুলো চাকরির প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে।
১) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের রেফারেন্স বই- আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গতিধারা
২) বাংলাদেশ বিষয়াবলি রেফারেন্স গ্রন্থ-শাশ্বত বাংলার বিবর্তন
৩) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লিখিত পরীক্ষার ৫০ নম্বরের জন্য- মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত
৪) ভাইভা প্রস্তুতি- BCS সাক্ষাৎকার]

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. এমরান হুসাইন: দেশের অন্যতম শিক্ষা, তারুণ্য, চাকরি, ক্যাম্পাসভিত্তিক নিউজ পোর্টাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্য শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।