বইমেলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করেছে ‘সুইচ ফাউন্ডেশন’

অমর একুশে বইমেলা ঘুরে দেখতে আগ্রহী শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’। প্রত্যেকের সঙ্গে যাবেন একজন স্বেচ্ছাসেবক। যতক্ষণ ওই দর্শনার্থীর বইমেলা দেখা শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাবেন স্বেচ্ছাসেবক।

২০টি হুইলচেয়ারের পেছনে দাঁড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে রুপান্তরিত একজন নারীও রয়েছেন।

আজ রোববার বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করে সংগঠনটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পূর্বপাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার আগে রোডের পাশে হুইলচেয়ার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ সংগঠন ছয় বছর ধরে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলা দেখতে আগ্রহী শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সেবায় এ উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। হাঁটতে পারেন না- এমন ব্যক্তিরা মেলার গেট পর্যন্ত কোনোভাবে পৌঁছাতে পারলেই আর চিন্তা নেই।  আমরা কোনো বিনিময় ছাড়া মেলায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।

কারা এ স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য জড়িত?  এ প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ফয়সাল বলেন, আমাদের সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।

এ ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি সুইচ স্কুল ও গাবতলীর দ্বীপনগরে একটি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে এই সংগঠনটির। স্কুল দুটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে প্রতিষ্ঠিত। ৩৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষা গ্রহণ করছে সেখানে।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো.মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের সাবেক ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী। আর সাধারণ সম্পাদক মইনুল ফয়সালও ঢাবির ২০০৭-০৮ সেশনের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।