বেরোবি উপাচার্যের দুর্নীতির ৭৫৮ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করছেন শিক্ষকরা

ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ
বেরোবি উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার শ্বেতপত্র প্রকাশ করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’। ৭৫৮ পৃষ্ঠার এ শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আগামী ১৩ মার্চ উপাচার্যবিরোধী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠনটি শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করবেন। বুধবার (১০ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনের আহবায়ক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন অধিকার সুরক্ষা পরিষদ তার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৭৫৮ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে।’

আগামী ১৩ মার্চ এটি প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হয়েও অনুপস্থিতি থাকা, ইচ্ছেমতো পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক প্রশাসনিক পদ দখল ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন।

তিনি আরো বলেন, উপাচার্যের অননুমোদিত ও অনিয়মতান্ত্রিক ফাউন্ডেশন ট্রেনিং, ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে অতিরিক্ত খরচ, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা,  শিক্ষক সংকটসহ নানান অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীকে সব অনিয়ম দুর্নীতি জানাতে চান বলে জানান তিনি।