ফেসবুকে নিউজ শেয়ার করায় ১০ শিক্ষককে শোকজ

শিক্ষক
মাউশি লোগো

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পদোন্নতি সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করায় ১০ শিক্ষককে শোকজ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। তাদেরকে সশরীরে অধিদফতরে এসে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

মাউশি’র ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ১০ জন শিক্ষকের নোটিশের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ৪ মার্চ ও ৮ মার্চ এই ১০ শিক্ষক কারণ দর্শাতে শিক্ষা ভবনে এসে তাদের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।

১০ শিক্ষক হলেন- খুলনার কেডিএ খানজাহান আলী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ওমর ফারুক, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মো. আকতারুজ্জামান, বরগুনা জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হারুন অর রশিদ, সিরাজগঞ্জের বিএল গভ. হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সম্রাট সাইফুল, চাঁদপুর গভর্নমেন্ট টেকনিক্যাল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোহাম্মদ তৈয়ব আলী, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সরকারি কে জি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) আমিনুর রহমান, হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলার রাজার বাজার সরকারি হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. আবু ইসহাক চৌধুরী, ঢাকার শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) ইলিয়াছ আহম্মেদ এবং নীলফামারী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রেজওয়ানুল কবির।

শিক্ষকের মধ্যে একজন মো. ওমর ফারুক বলেন, আমি কর্তৃপক্ষকে লিখিত জবাব দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা আমাকে কিছু প্রশ্ন করেছে তার উত্তরও দিয়েছি। আমিও জানতে চেয়েছিলাম আমাকে কেন শোকজ করা হলো? এর উত্তরে কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, আপনি অনলাইন পত্রিকার দুটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এটাই শোকজ করার কারণ।

আমি আমার ব্যাখ্যায় বলেছি, এ বিষয়ে সরকারি কোনো নীতিমালা অথবা বিধিমালা নেই। আমি তাদের এটাও বলেছি, যদি আমার কোনো সিনিয়র সহকর্মীও বলতেন যে এটা করা যাবে না, তাহলে আমি ফেসবুকে লিঙ্ক শেয়ার করতাম না।

জানা গেছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক পদে ৭ হাজার ২৭৮ জনের খসড়া তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। শিক্ষকদের অভিযোগ, এর মধ্যে নিয়োগ বিধিমালা ও আইন অনুযায়ী সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। আর প্রায় ১৫০০ শিক্ষক আছেন যাদের বিএড জটিলতা আছে। অথচ যাদের পদোন্নতির জন্য যোগ্যতা রয়েছে তাদের ১০ জনকেই শোকজ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মো. বেলাল হোসেন বলেন, এই ১০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। যদি কোনো শাস্তি দেয়া হয়, তবে তা জানিয়ে দেয়া হবে।

নোটিস