এক লাখ কোরআন বিতরণের উদ্যোগ উদ্ভাবক মিজানের

উদ্ভাবক
কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি কামনায় বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় এক লাখ কোরআন শরীফ বিতরণর উদ্যোগ নিয়েছেন শার্শার কৃতি সন্তান উদ্ভাবক মিজানুর রহমান। সোমবার (৮ মার্চ) দুপুরে নাভারণ হক কমিউনিটি সেন্টারে কোরআন প্রতিযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন ১২ বছর বয়সী হাফেজ মো. মাহফুজুর রহমান ফিতা কেটে এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

আয়োজিত কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে শার্শা উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকে দুইজন করে শিক্ষার্থী নিয়ে কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয়ী সকলকে পবিত্র কোরআন ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষকদের হাতে কোরআন, বই, খাতা, কলম পেন্সিল তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে মিজানুর বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ হাজার কোরআন বিতরণ করেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন বিতরণের উদ্বোধন করা হলো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ কোরআন বিতরণ করা হবে।

একাডেমিক কোনো শিক্ষা না থাকলেও নিজের আলোয় আলোকিত মোটর মেকানিক মিজানুর রহমান। নিজের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কার করে হয়েছেন দেশসেরা উদ্ভাবক। এজন্য একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে পেয়েছেন পুরস্কার।

এর আগে তিনি করোনা মহামারির সময় রেলস্টেশন ও যাত্রী ছাউনিতে থাকা অসহায় মানুষের মাঝে প্যাকেট খাবার, মাস্ক বিতরণ করেছেন। শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।