ঢাবি ভর্তি আবেদন শুরু আজ, জেনে নিন আবেদনের খুঁটিনাটি

আজ সোমবার (৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে প্রার্থীদের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এদিন বিকাল চারটা থেকে শুরু হয়ে ৩১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি বিষয়ক সাধারণ ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনলাইনে আবেদন শেষে সরকারি ব্যাংগুলোর যেকোনো শাখায় ১ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে। এবার প্রতি ইউনিটের জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা। এছাড়া করোনার কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম শর্ত বাড়ানো হয়েছে।

অনলাইনে আবেদন শেষে সরকারি ব্যাংগুলোর যেকোনো শাখায় ১ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে। এবার প্রতি ইউনিটের জন্য আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ টাকা। এছাড়া করোনার কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম শর্ত বাড়ানো হয়েছে।

ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে, খ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে, গ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে, ঘ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৮ মে এবং চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক ও সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫), ‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০), ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ ( আলাদাভাবে ৩.৫), ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮.৫ (আলাদাভাবে ৩.৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.০ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০) থাকতে হবে।  

ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধুমাত্র ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেখুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন যেভাবে

আবেদনের সাধারণ তথ্য
১) ভর্তির আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক)- এর প্রয়োজন পড়বে।
২) শিক্ষার্থীকে ৮ টি বিভাগীয় শহরের যেকোন ১টি কে তার ভর্তি কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
৩) স্ক্যান করা একটি ছবির (Format: jpg, Size: 30 – 200KB, Width: 360-540px, Height: 540-720px) প্রয়োজন পড়বে।
৪) SMS করার জন্য শিক্ষার্থীর কাজে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল অথবা বাংলালিংক অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
৫) ভর্তির আবেদন ফি তাৎক্ষনিক অনলাইনে (VISA /Mastercard/ American Express ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং , ইন্টারনেট ব্যাংকিং ) বা চারটি রাস্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা যাবে।

সমতা নিরূপনের জন্য
১) এ-লেভেল/ও-লেভেল/সমমান বিদেশী পাঠ্যক্রমে বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সমতা নিরূপনের জন্য https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েব সাইটে গিয়ে “সমমান আবেদন” বা “Equivalence Application” মেনুতে আবেদন করে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
২) সমতা নিরূপনের পর প্রাপ্ত “Equivalence ID” ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মত তারা একই ওয়েবসাইটে লগইন করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে।