আন্দোলনেও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা পেছাচ্ছে না

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

আগামী ২ এপ্রিল নির্ধারিত সময়েই চলতি বছরের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৫ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, এই পরীক্ষা আগামী ঈদুল ফিতরের পর নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্দোলন করছেন ভর্তিচ্ছুরা। তাদের মতে, দেশের বর্তমান করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে আগামী ২ এপ্রিল মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে তাদের এবং অভিভাবকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে।

তবে অধ্যাপক ডা. মো. আবু ইউসুফ ফকির বলেন, বর্তমানে দেশে এখন অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পাশাপাশি সারাদেশে করোনা টিকা কার্যক্রমও চলছে। এর চেয়ে খারাপ অবস্থাতেও আমাদের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা বসে থাকেনি। তাই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য সময় অক্টোবর-নভেম্বরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয়ে যায়। এ বছর করোনার কারণে তারিখ এমনিতেই অনেকটা পিছিয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমি বলতে পারি, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু ছেলেমেয়ে আছে যাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি কখনোই থাকে না। তারা সবসময় মনে করে পরীক্ষা পেছালে ভালো হয়। কিন্তু পেছালেও যে তাদের খুব বেশি একটা কিছু হয়ে যায়, এ রকম না। এটি একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। এখানে সিট সংখ্যাও সীমিত। যারা ভালো করবে তারা টিকবে। আর এভাবে পরীক্ষার সাজেশন পিছিয়ে দিলে তো সামগ্রিকভাবে তাদেরই ক্ষতি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আগামী ঈদুল ফিতরের পর এ পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এদিন রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা এখনো সেইফ জোনে নেই। দেশে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হলেও আমাদের দেয়া হয়নি। আমরা সবাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই। ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে শুধু আমরাই নয়, আমাদের পরিবারও জড়িত। তাই আমরা ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে ভয়-ভীতিহীনভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই। সব ভর্তি পরীক্ষা ঈদের পর নেয়া হচ্ছে। তাহলে মেডিকেলে কেন এত আগে নেয়া হবে? অবিলম্বে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা তারিখ পেছানো হোক।”