আমাকে ধ্বংস করতে চান ঢাবির ক্ষমতাধর নারী: সামিয়া রহমান

সামিয়া রহমান
সামিয়া রহমান

শুনলাম আমার এই প্রেস কনফারেন্সে চরম ক্ষুব্ধ, রাগান্বিত, এবং আমাকে একেবারে ধ্বংস করতে প্রতিশোধপরায়ন হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উচ্চপদস্থ ক্ষমতাধর নারী। যেহেতু তার নামটিও চলে এসেছে আমার বক্তব্যে প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে অথবা প্রেস কনফারেন্সে। তিনি এখন ভয়াবহ প্রতিশোধপরায়ন হয়ে গতকাল সকল সাংবাদিকদের ডেকে ডেকে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করার জন্য উসকাচ্ছেন। বলছেন, যে কোনোভাবে সামিয়াকে ধ্বংস করে দিতে হবে। যে কোনো নিউজ দিয়ে, তা মিথ্যা হোক আর যাই হোক।

সাংবাদিকদের কাছেই শুনলাম যাদের যাদের তিনি ফোন দিয়েছিলেন। বললেন, মিথ্যা সত্যের ধার ধারি না, যে কোনো মূল্যে সামিয়াকে শেষ করতে হবে। যে কোনো নিউজ করতে হবে সামিয়ার বিরুদ্ধে। প্রয়োজন হলে আমার সকল আর্টিকেলকে প্লেজারিজম বলে প্রমাণ করতে হবে। কারন পদ ক্ষমতা তার হাতে, তিনি যদি বলেন তবে এগুলো জনগণ মেনে নেবে। সাংবাদিকরা বললে জনগণ মেনে নেবে। যে করেই হোক সামিয়াকে টিকতে দেয়া হবে না। সামিয়ার এতো বড় সাহস, আমাদের বিরুদ্ধে প্রেস কনফারেন্স করে! এবার আমি তাকে শেষ মারটা দেব।

উনার এতো ক্ষোভ কেন আমার বিরুদ্ধে? প্রথম থেকে উনি এবং উনার চামচারা কেন মিডিয়ার সামনে এতো সোচ্চার আমাকে নিয়ে? অ্যালেক্স মার্টিনের মিথ্যা চিঠির ষড়যন্ত্রের কি তিনিই তাহলে হোতা? প্রকাশ হয়ে যাবার ভয়ে আমাকে শেষ মার দেবার চেষ্টা? তার ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে তাই আমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের নতুন করে উসকানোর চেষ্টায় তিনি এখন অতি ব্যস্ত।

আচ্ছা যার নিজের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগ আসে, তার ক্ষমতার ভয়ে ২/৩টি বাদে আর কোনো মিডিয়া সাহস পায় না কাভারেজ দেবার, যিনি নিজে প্লেজারিজমের সাথে যুক্ত অন্তত ৫/৬ টি আর্টিকেলে, তিনি আবার কিভাবে অন্যকে নৈতিকথার কথা বলেন? বিচারক হবার যোগ্যতা তিনি আর রাখেন কি? ক্ষমতা পেয়ে কি তিনি এতোটাই করাপ্টেড হতে পারেন? তিনি এতোই প্রবল প্রতাপশালী যে দিনকে রাত করেন, কোনো সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে লিখলে তার চাকরী চলে যায়, তার বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখা এক ঘন্টার মধ্যে ভ্যানিশ হয়ে যায়।

আমার ফেসবুক বন্ধুদের জানিয়ে রাখলাম, এই মহিলা আবার আমার বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছেন সাংবাদিকদের ফোন দিয়ে, ডেকে ডেকে। তবে আমি এখন প্রায় নিশ্চিত আমার বিরুদ্ধে শিকাগো জার্নালের মিথ্যা চিঠির, পুরো ষড়যন্ত্রের হোতা কে? তিনি ছাড়া আর কি কেউ হতে পারেন?

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)