কুবিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মারামারি, আহত ২

হামলা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন ব্যাবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হাওলাদার ও একাউন্টিং এন্ড সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম সেন।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হাওলাদারসহ কয়েকজন উপাচার্য বাসভবনের সামনে গেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ ১০-১২ জন নেতা-কর্মী হামলা করে। এসময় সোহেলের বাম চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সোহেলের সাথে থাকা বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফসহ কয়েকজনের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দত্ত হলের প্রীতম সেনেরও বাম চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহত সোহেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে দত্ত হলের ১২ তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা আমার উপর হামলা করে। হোটেল থেকে খাবার খেয়ে হলে ফিরার সময় তারা পেছন থেকে ১৫-২০ জন এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পূর্বে তাদের সাথে আমাদের ঝামেলা হয় তখন ইলিয়াস ভাই-মাজেদ ভাই মীমাংসা করে দেয়।

আরেক আহত প্রীতম সেন বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম, এসময় দেখি কয়েকজন বাকবিতন্ডা করছে। কৌতূহলবসত আমি দেখতে গেলে ওয়াসিভাই ও তার বন্ধুরা আমি কিছু বুঝে না ওঠার আগে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মী সালমান বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি মারামারি দেখে ওখানে গিয়েছি। যারা আমাকে জড়িয়েছে তারা ননসেন্স। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।

তবে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ বলেন, আমরা সোহেলসহ হলের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় কয়েকজন সোহেলের উপর হামলা চালায়। সোহেলকে বাঁচানোর সময় আমরা তাদের প্রতিহত করি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, তারপরেও যে ঘটনা ঘটেছে তারজন্য আমরা সাংগঠনিকভাবে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আগামীকালের মধ্যেই আমরা এর সুরাহা করবো।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা যেয়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আগামীকাল ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।