পুলিশ হেফাজতে ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী

বাঁশ নিয়েও হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর

প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের সমাবেশ থেকে পুলিশকে মারধর ও ইট ছোড়ার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল থেকে তাদের হাতেনাতে ধরে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, প্রেসক্লাব ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৭ থেকে ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত রাতে হঠাৎ করে ছাত্রদল সমাবেশ ডাকে। সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হতে থাকে। প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অনুমতি ছিল না। আমরা সকালেও তাদের অনুমতি নিতে বলেছি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করে এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়ে। এরপরই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের উদ্যোগের প্রতিবাদে এ সমাবেশ কর্মসূচি ছিল ছাত্রদলের। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।