যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেল জনসনের এক ডোজের টিকা

করোনার টিকা
প্রতীকী

জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকাটিও জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা অনুমোদন দেয়। -খবর এএফপি ও বিবিসির

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী, ভোক্তা ও শিল্প প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের গঠিত ২২ সদস্যের কমিটি দীর্ঘ ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে জনসনের টিকার অনুমোদনে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে এ পর্যন্ত যতগুলো টিকার অনুমোদন পেয়েছে, সবই দুই ডোজের। অর্থাৎ এক ডোজ নেওয়ার কিছুদিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা এক ডোজের। অর্থাৎ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এক ডোজই যথেষ্ট।

এর আগে নিজেদের টিকার কার্যকারিতাসংক্রান্ত ফলাফল গত মাসে প্রকাশ করে জনসন অ্যান্ড জনসন। ওষুধ উৎপাদনকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান জনসেন বলেছে, তারা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে, সে অনুযায়ী গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রেও এ টিকা উচ্চমাত্রায় কার্যকর।

বিবিসি জানায়, বেলজিয়ামের জনসেন কোম্পানি এক ডোজের এই টিকা উৎপাদন করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা পাওয়া যাবে। জুনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে তারা ১০০ মিলিয়ন টিকা দেবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ টিকার অর্ডার দিয়েছে। এ ছাড়া কোভ্যাক্স কর্মসূচির অধীন দরিদ্র দেশগুলোয় করোনার টিকা সরবরাহে জনসনের এই টিকার ৫০ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জনসনের এক ডোজের এই টিকা অন্যগুলোর তুলনায় দামে যেমন সস্তা, পরিবহনও সহজ। এর জন্য কোল্ডচেইন বা অতিশীতল তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়বে না, সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যাবে মাসের পর মাস।

যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলে ট্রায়ালে এই টিকা গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে ৮৫ শতাংশের বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এবং সবমিলিয়ে এটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।

জনসনের টিকার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়কে স্বাগত জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এটি সব মার্কিনের জন্য দারুণ খবর। এটি উৎসাহব্যঞ্জক এক অগ্রগতি। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে এখনো অনেক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে সতর্ক করে দেন।