মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ২৮ জন শিক্ষার্থী

চলতি বছরের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে ভর্তি যোগ্য প্রতিটি আসনের বিপরীতে মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবার ভর্তি আবেদন পড়েছে বিগত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর আবেদন পড়েছিল ৭২ হাজার ৩২৮টি, এবার (বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত) ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৫ জন। অনলাইনে আবেদনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হবে ১ মার্চ রাত ১২টায়।

জানা গেছে, এবার ভর্তির আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা থেকেই ১ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। পরে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার করা হয়েছে। তবে ২ মার্চের আগ পর্যন্ত আবেদনকারীদের চূড়ান্ত সংখ্যা জানা যাবে না। কেন্দ্র সংখ্যা না বাড়িয়ে ভেন্যু সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, অতিরিক্ত চাপ সামাল দেয়ার জন্য।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বলেন, এ বছর আবেদন বেশি পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা থেকেই প্রথমে এক লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী হতে পারে অনুমিত পরিসংখ্যান ধরে নিয়ে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের কোনটিতে কতজন আবেদন করতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু শুরু দিকে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আসন সংখ্যা বাড়িয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার করে পরীক্ষার আসন বিন্যাস করা হয়েছে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে আবেদনের জন্য মেডিকেল কলেজগুলোতে যে আসন সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তা পূর্ণ হয়ে গেছে। আবেদন বেশি হওয়ায় এখন আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রে।

অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব বলেন, এজন্য কেন্দ্র না বাড়িয়ে কেন্দ্রের অধীনে ভেন্যু বাড়ানো হয়েছে। এবার যে ১১টি মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার আসন বণ্টন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ঢাকা মেডিকেল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী, স্যার সলিমুলস্নাহ মিটফোর্ড, মুগদা, ঢাকা ডেন্টাল, বরিশাল, রংপুর, কুমিলস্না, খুলনা, দিনাজপুর ও পাবনা।

অধিদপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, দেশে সরকারিভাবে পরিচালিত ৩৭টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। মোট আসনের মধ্যে সাধারণ কোটায় ৪ হাজার ২৩০টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (২ শতাংশ) ৮৭টি, উপজাতি কোটায় নয়টি, অ-উপজাতি কোটায় তিনটি এবং অন্যান্য জেলার উপজাতি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস এবং ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটগুলোর বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বরাবরের মতো সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টালের জন্য একটিই গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।