মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদকারী দু’জনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

রুহুল আমিন ও নিয়াজ মুর্শিদ দোলন
রুহুল আমিন ও নিয়াজ মুর্শিদ দোলন

খুলনার গোয়ালখালী এলাকা থেকে শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিনকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংগঠনের আহবায়ক কমিটির সদস্য নিয়াজ মুর্শিদ দোলন এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি তাকে আটক করেছে।

নিয়াজ মুর্শিদ আরও বলেন, ‘পুলিশ এবং ডিবি রাতে যৌথভাবে অভিযান চালায়। আমি এবং রুহুল আমিন একসঙ্গে ছিলাম। আমাকেও আটক করা হয়েছিল। পরে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আমাকে। সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ডিবি কার্যালয়ে আছি। রুহুল আমিনকে মুক্তি দেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে খালিশপুর থানার ওসি কাজী মোস্তাক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কাউকে আটক করিনি।’ এসময় ডিবিতে খোঁজ নিয়ে দেখতে বলেন তিনি। আর খুলনা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার বিএম নুরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিডিয়া শাখা থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে রাতে ফেসবুক লাইভে গিয়ে কারাবন্দি লেখক মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানান বাম রাজনৈতিক সংগঠন শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক রুহুল আমিন। এ ছাড়া সংগঠনটি জাতীয় সংসদ ভবনের অভিমুখে মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই কর্মসূচির পোস্ট নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন রুহুল।