শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান নুরের

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নুর এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে ২৪ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা আমরা প্রত্যাখান করছি। আপনাদের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বনাশা সিদ্ধান্ত। চলতি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে হোক কিংবা মার্চের শুরুতে; অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর গতকালকের ঘোষণার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা কার্যক্রম চলছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষামন্ত্রীকেই ঘোষণা দিয়ে এসব শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে। বিশ্বের কোনো দেশেই এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকেনি।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করে তারা। নুর বলেন, সরকারি দলের প্রত্যেকটি সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। এমন প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সারাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে কি করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নুর আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পরীক্ষা চলছিল, কিন্তু গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দেশের সব কিছু যেখানে সচল রয়েছে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ রয়েছে সেটি আমার বোধগম্য নয়। দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের পর আগামী ২৪ মে খুলবে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়। এর এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল। এই সময়ের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার আবাসিক ছাত্রছাত্রীকে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরও টিকা দেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পাস খোলার আগে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। ইতিমধ্যে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই হলে উঠে গেছেন তাদের অবিলম্বে হল ত্যাগের আহ্বান জানান। তিনি ছাত্রছাত্রীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ক্যাম্পাস খোলার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে বিসিএসে আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে।