মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে অবরোধ

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটাসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।

কর্মসূচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, রাজশাহী, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিটের সংগঠনটির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।

এতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘কোটা কোটা কোটা চাই, ৩০ শতাংশ কোটা চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, রাজাকারের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা জেগেছে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া, প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান সজীব সরকার, মিজানুর রহমান, ইয়াসিন আকন্দ, তসলিমা রেজা, যুগ্ম মহাসচিব ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা, তিতুমীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

মিজানুর রহমান বলেন, ৩০ শতাংশ কোটাসহ ৭ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছেড়ে যাব না। সব নেতাকর্মী উপস্থিত হলে শাহবাগ রাস্তা অবরোধ করা হবে। এজন্য নেতাকর্মীদের অন্তত ৩ দিনের খাবার ব্যবস্থাসহ উপস্থিত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো- সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে; সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা মর্যাদা নির্ধারণ করা; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযােদ্ধার ও অসুস্থ মুক্তিযােদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ভুয়া মুক্ত তালিকা প্রণয়ন করতে হবে; মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্র মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লােকদের মুজিব কোট পরা যাবে না, এই মর্মে আইন পাস করতে হবে; মুক্তিযােদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা; মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমান বন্ধসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযােদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।