ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা: ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বান্ধবী ফারজানা জামান নেহা

রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় জব্দকৃত বিছানার চাদরে ধর্ষণের কোনো আলামত আছে কি-না তার ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর ভেজাইন্যাল ও রেকটাল সোয়াবের ডিএনএ পরীক্ষারও অনুমতি দেয়া হয়েছে। রোববার মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার ঘটনায় একটি হালকা গোলাপী রঙের সুতি প্রিন্টের বেড শিট (চাদর) জব্দ করা হয়েছে।মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে চাদরে ধর্ষণের কোনো আলামত আছে কি না তার চিফ ডিএনএ এনালিস্ট, ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডিতে পাঠিয়ে পরীক্ষার আদেশ ও ক্ষমতাপত্র প্রদান করা প্রয়োজন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল চারটায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী এবং রায়হান একসঙ্গে ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

এজাহারে আরও বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন।

ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।