করোনার ধাক্কায় ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা বাতিল

নভেল করোনাভাইরাসের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য সরকার ইংরেজি মাধ্যমের ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত ব্রিটিশ কারিকুলামের পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। সামার সেশনের এই পরীক্ষা আগামী মে-জুনে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

তবে অক্টোবর-নভেম্বরে নির্ধারিত পরীক্ষাটি হবে। কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে চাইলে তখন অংশ নিতে পারবে। এর আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের সামার সেশনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। তখন শিক্ষার্থীদের চারটি ‘ফ্যাক্টর’ (গুণক) বিবেচনায় নিয়ে গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। 

ইংরেজি মাধ্যম বা বিদেশি কারিকুলামে বাংলাদেশে বেশকিছু স্কুলে লেখাপড়া হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ কারিকুলামের শিক্ষার্থীই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কারিকুলামের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে দুটি সংস্থা। এগুলো হচ্ছে অ্যাডেক্সেল এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দুটির মধ্যে অ্যাডেক্সেলের শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশের কারিকুলামে কিছু স্কুল পাঠদান করে থাকে।

সামার সেশনে প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবার এখন পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে ৮ হাজারের মতো প্রার্থী আছে বলে অ্যাডেক্সেলের স্থানীয় প্রতিনিধিরা ধারণা পেয়েছেন। অন্যদিকে ইউকেতে বেসরকারি শিক্ষা বোর্ড হিসেবে বিবেচিত ক্যামব্রিজ কারিকুলাম। এই কারিকুলামেও বাংলাদেশে সামার সেশনে গড়ে ৫-৬ হাজার পরীক্ষার্থী থাকে।

সামার সেশনের পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিয়ারসন-এডেক্সেলের বাংলাদেশ প্রধান আবদুল্লাহ লিটন বলেন, ব্রিটেনে শিক্ষা পরিচালনা করে যেসব শিক্ষাবোর্ড সেগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার নাম ‘অফকল’ (ওএফকিউইউএএল)। এই সংস্থা শুধু মে-জুনে পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইউকেতে যতগুলো সরকারি বোর্ড আছে, সেগুলোর একটি পিয়ারসন-এডেক্সেল। যেহেতু যুক্তরাজ্যে আসন্ন সামার সেশনে (মে-জুন) কোনো পরীক্ষা নিচ্ছে না সরকার, তাই এই বোর্ডের অধীন বিশ্বের কোনো দেশেই ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে কেউ চাইলে অক্টোবর-নভেম্বরে নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।