অটোপাস: দ্বিতীয়বার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই

এইচএসসিতে দ্বিতীয়বার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না
এইচএসসিতে অটোপাস দেওয়া হলেও দ্বিতীয়বার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে না

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস দেওয়া হয়েছে। জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল গড় করে গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলাফলে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। তবে এরমধ্যেও অনেকে ভালো ফলাফল করতে পারেননি।

এ অবস্থায় তারা আগের মতো মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তবে তাদের সে সংশয় দূর করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবেন তারা। অবশ্য এ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ একবারই পাবেন পরীক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে একাবর কেউ মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিলে দ্বিতীয়বার আর সুযোগ পাবেন না বলে জানা গেছে। অর্থাৎ এবার যারা মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী ছিলেন, তারা আর এ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন না।

দ্বিতীয়বার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকবে কিনা জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস ছালাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ একবারই। সেক্ষেত্রে কেউ চাইলে একবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারে। দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ নেই।’

একাধিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, অটোপাসের ফলাফলে কেউ সন্তুষ্ট না হলে তাদেরকে এবার ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতেও কেউ সন্তুষ্ট না হলে তারা আগামীবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারবেন। এতে নিয়মেরও কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। আগে যেভাবে পরীক্ষা দেওয়া যেত, অটোপাস শিক্ষার্থীরাও একইভাবে পরীক্ষা দিতে পারবেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ এ প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কেউ মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে চাইলে অবশ্যই পারবে। অটোপাস হলেও শিক্ষার্থীদের আলাদা করে দেখা হবে না। তারা আগের মতোই সবকিছু করতে পারবে।’

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সচিব বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘এবার তো তারা এমনিতেই ফলাফল রিভিউ করার সুযোগ পাচ্ছে। এরপরও কেউ ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে চলতি বছর যখন রেজিস্ট্রেশন চলবে তখন আগের মতোই মানোন্নয়ন পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে। নিয়মের কোনো পরিবর্তন হবে না।’

সদ্য ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, দেশের ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে পাস করেছেন ১৩ লাখ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। আগের বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। সে হিসেবে এবার অটোপাসে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি। এবার ছাত্রদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন এবং ছাত্রীদের মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।