এবছর উচ্চশিক্ষায় আসন সংকট হচ্ছে না

এইচএসসির ফল পাওয়া শিক্ষার্থী

প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরপরই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে উৎকণ্ঠা ও আলোচনা শোনা যায় উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে আসন সংকট নিয়ে। পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা কম থাকায় এই উৎকণ্ঠার সৃষ্টি। তবে এবার আর কোনো আসন সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্বিবিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির জন্য অটোপাস পেয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাদের মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন।

তবে এত বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার কি হবে? যেখানে ২০১৮ সালের ইউজিসি প্রকাশিত  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি এবং বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য ১১ লক্ষ আসন রয়েছে। সেই হিসাবে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। তাবে কি উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত হবে এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীরা?

এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা সাফ নাকচ করে দিয়েছেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি, যাদের সবাই পাস করেছেন। এই বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতে কোনো বাঁধা নেই। আর ১১ লাখ শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যার যে হিসাবের পরিসংখ্যান সেটি গত দুইবছরের পুরনো।

ড. ফেরদৌস জামান বলেন, এবার এইচএসসি পাস করেছেন ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী। আর বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী উচ্চশিক্ষায় আসন রয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৪০ হাজার।

এর বাইরেও শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আরও প্রতিষ্ঠান রয়েছে জানিয়ে ইউজিসির সচিব আরও বলেন, বর্তমানে মোট ৪৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক (পাস) মিলিয়ে আসন আছে সাড়ে আট লাখের কিছু বেশি। এর বাইরে সরকারি বেসরকারি নার্সিং ইন্সটিটিউট, মেরিন একাডেমিও রয়েছে। বরং আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যত আসন থাকে, তার সবই পূরণও হয় না। সুতরাং শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এবার উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়।