লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করেননি রাবি প্রো-ভিসি অধ্যাপক জাকারিয়া

অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মু. আলী আসগরের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) অধ্যাপক আলী আসগরের পক্ষে রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবী নূর-এ-কামরুজ্জামান ইরান এ নোটিশ পাঠান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, রাবির দুই উপ-উপচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ মোট ১০ জনকে নোটিশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এই লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মু. আলী আসগর। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিভাগের প্যাডে অধ্যাপক আসগরের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ জানুয়ারি রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে উক্ত বিষয়ে ঘোড়ামারা নৈশ ডাকঘর থেকে A/D সহ গ্যারান্টিড এক্সপ্রেস পোষ্ট (রশিদ নং- ৪৯৪) এর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরিত হয়েছিল। কিন্তু, অন্য ১০ জন প্রাপক লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করলেও, রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া উক্ত লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করেননি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট অফিস কর্তৃক উক্ত গ্যারান্টিড এক্সপ্রেস পোষ্ট (রশিদ নং-৪৯৪) “প্রাপক চিঠি গ্রহণ না করায় ফেরত“ লিখে প্রেরকের নিকট প্রেরণ করেছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ওই লিগ্যাল নোর্টিশে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এর অ্যাক্ট অনুযায়ী সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক আলী আসগরকে ক্রপ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন ওই বিভাগেরই অধ্যাপক খাইরুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কোনও অভিযোগ ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি না করার হীন উদ্দ্যেশ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, আইন ও বিধি সঙ্গত সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক আলী আসগরকে চেয়ারম্যান না করায় তিনি (অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। বর্তমানে সেটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে। রিট পিটিশনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয় নোটিশে, অন্যথায় আদালত অবমাননা হবে। উক্ত লিগ্যাল নোটিশের বিষয়টি ২৬ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন অনলাইন/প্রিন্ট মিডিয়াসহ রাজশাহীর বহুল প্রচারিত দুইটি পত্রিকা সোনালী সংবাদ ও দৈনিক সানশাইন এ প্রকাশিত হয়েছে।