বিভ্রান্তিকর সংবাদ সবার ভাবমূর্তি নষ্ট করে: খুবি ভিসি

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন, সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সকলেই প্রত্যাশা করে। গুজব বা বিভ্রান্তিকর তথ্য নির্ভর সংবাদ রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, সমাজ কিংবা ব্যক্তিকে ক্ষতি করে, ভাবমূর্তি নষ্ট করে। তাই সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই করে দেখা কিংবা ঘটনার পেছনের প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান করা উচিৎ।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অফিস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এসময় ফিতা কেটে সমিতির অফিস উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিক সমিতির অফিস ঘুরে দেখেন।

উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন চালু হওয়ার পর এখন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে তা চর্চা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যুক্ত হতে পারছে এবং তারা হাতে-কলামে শিখতে পারছে। এটা তাদের পেশাগত জীবনে উৎকর্ষ লাভে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন একটি বিষয় নিয়ে যে অবস্থা চলছে তা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। শিক্ষকরা কখনই ছাত্রের অমঙ্গল চান না, তারা চান ভুলের জন্য শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি বা অনুশোচনা বোধ জাগুক যাতে তারা ভবিষ্যতে পথ চলার পথে সচেতন হয়, শিক্ষা নেয়।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জটিল না করে সহজে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধানে উপনীত হওয়া যেতো। দু’জন শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা বোর্ডের পত্রের জবাবে শুধু এটুকু লিখলে পারতো যে, সেদিনের ঘটনায় তারা শ্রদ্ধেয় কোনো শিক্ষককে ইচ্ছাকৃত কষ্ট দিতে চায়নি, যদি কোন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক উক্ত সময়ের ঘটনায় কষ্ট পেয়ে থাকেন তা হলে তারা দুঃখ প্রকাশ করছে। কিন্তু তারা তা না করে যে জবাব দিয়েছে তার মধ্যে জটিলতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। এটা দুঃখজনক। তাদের এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনীতিমুক্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি প্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র ও ভাবমূর্তি নষ্টে উদ্দেশ্যমূলক, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। এটা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জিত সুনামই কেবল নষ্ট করছে তা নয়, এটা স্বায়ত্বশাসিত এ প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে জটিল না করে তা সহজে সমাধানযোগ্য পথ উত্তরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য সকল মহলের প্রতি আবারও আহবান জানান। 

এ সময় আরও বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, আইন স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন প্রধান (সাময়িক দায়িত্ব) মামুনর রশীদ।