উচ্চ আদালতে যাবেন খুবি শিক্ষকরা

(বাঁ থেকে) আবুল ফজল, হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও শাকিলা আলম
(বাঁ থেকে) আবুল ফজল, হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী ও শাকিলা আলম

উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সেই তিন শিক্ষক। তাদের একজনকে বরখাস্ত ও দুজনকে অপসারণের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক শাকিলা আলম। তবে কবে-কখন উচ্চ আদালতে যাবেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

অভিযুক্ত অপর দুই শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল ও ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী।

এর আগে গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১২তম সিন্ডিকেট সভায় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরীকে অপসারণ করা হয়েছে।

শাকিলা আলম বলেন, আমরা শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষের এই অন্যায় সিদ্ধান্ত মানবো না। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবো। আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে এ বিষয়ে সমাধান করা হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি পাঁচ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। বেতন-ফি কমানো, আবাসনসংকট সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবি ছিল শিক্ষার্থীদের। এর প্রায় ৯ মাস পর গত ১৩ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের ‘উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগে ওই তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ওই চিঠির জবাব দেওয়া হলে গত ৯ নভেম্বর আরেকটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ নভেম্বরের ওই চিঠি জবাব দেওয়া হলে ২৪ নভেম্বর ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারও চিঠি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর হাজির হয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ওই তিন শিক্ষককে ডাকা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে আবারও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ জানুয়ারি ওই চিঠির জবাব দেন শিক্ষকেরা।

এরপর ১৮ জানুয়ারি সোমবার সিন্ডিকেট করে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় প্রশাসন। গত মঙ্গলবার সকালে চাকরিচ্যুত ও অপসারণ করার আগের চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ ওই তিন শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি বেলা দুইটার মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল।