সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শ্রেণি শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন: রাশেদা কে. চৌধুরী

রাশেদা কে. চৌধুরী
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী

সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির আগেই কবে স্কুল খুলবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। এরমধ্যেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি শেষ করতে বলা হবে। গত বৃহস্পতিবার দুই মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারকরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকালের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে শুরুতে সব শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে না।

এ দিকে সম্প্রতি গণস্বাক্ষরতা অভিযান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষা কর্মকর্তাসহ প্রায় তিন হাজার জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে দেখা গেছে, প্রায় ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনাকালে দূর-শিক্ষণে অংশ নিতে পারেনি। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্কুলগুলো দ্রুত খুলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শ্রেণি শিক্ষা চালু করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী।

তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সব প্রস্তুতি নিয়ে ধাপে ধাপে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার জন্য দ্রুত ঘোষণা করা প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রশাসন ও বেসরকারি সংগঠনকে যুক্ত করে প্রস্তুতি নিতে হবে। একইসঙ্গে সে ব্যবস্থা মনিটরিং করতে হবে। সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই স্কুলগুলো খোলার ব্যবস্থা করতে হবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল হয়েছে পিএসসি, জেএসসি, এইচএসসিসহ বার্ষিক পরীক্ষা। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও সব শ্রেণির ক্লাস হবে না। জানা গেছে, প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি, মাধ্যমিকের দশম এবং উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলবে। বেশি অগ্রাধিকার পাবে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রায় ৬০টি নির্দেশনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, একটি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ আলদা হতে হবে। ক্লাসের আয়তনের ওপর শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ভর করবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক সরবরাহ হবে স্কুল থেকে। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

স্কুলের শ্রেণীকক্ষ, টয়লেট, স্কুল প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হবে। বেসরকারি স্কুল নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ বহন করবে। আর সরকারি স্কুলগুলোর খরচ দেবে সরকার।