ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরি মিস হবে না: রাবি উপাচার্য

উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান
উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছাত্রলীগ কর্মীদের মিস হবে না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পৌঁছেছে, এজন্য তিনি তাদেরকে দু-চার দিন অপেক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাকরি দাবিতে আন্দোলন করা ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে উপাচার্যের এমন কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক এ খবর জানিয়েছে। তবে এমন কথোপকথনের বিষয়ে উপাচার্য এবং ছাত্রলীগ উভয়ের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান বলেছেন, বিষয়টি ঠিক না। তাদের কোনো চাকরির আশ্বাস দেয়া হয়নি। আন্দোলনকারীদের শুধু চলে যেতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রত্যাহার না করা হলে চাকরির ব্যবস্থা করা সম্ভব না। নিষেধাজ্ঞা যাতে না থাকে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক তদন্তে দেখতে পায় রাবি উপাচার্য ও কর্মকর্তারা উপাচার্যের মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বিধি শিথিল করেছেন। তদন্তের পর, গত বছর ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখার সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের খবর জানাজানি হলে বিক্ষোভ শুরু করে রাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা চাকরির বিষয়ে কথা বলতে ১১ জানুয়ারি রাতে উপাচার্য আবদুস সোবহানের বাসভবনে দেখা করেন।

অডিও ক্লিপে উপাচার্যকে বলতে শোনা গেছে, বিষয়টা (আন্দোলন) যথেষ্ট হয়েছে, আমার মনে হয়, যাদের বোঝার তারা বুঝেছে। এই জিনিসটা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বরাবর পৌঁছে গেছে যে, ছাত্রলীগের ছেলেরা অবস্থান নিয়েছে, চাকরির জন্য। তিনি তো অবশ্যই ভাববেন তোমাদের অবস্থানের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেছেন, আমি সব কথা প্রকাশ করে বলতে পারছি না, বললে আবার অসুবিধা আছে। তবে তোমাদের এই বিষয়টা আমি সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে দেখবো, ইনশাআল্লাহ। দেখো সেটা, অপেক্ষা করো।

এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আর কতদিন অপেক্ষা করবে জানতে চাইলে উপাচার্য জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কথা বলেছেন। অপেক্ষা করো। দু-চার দিন দেখো। এরপরেও না হলে, আবার তোমরা আন্দোলন করতে পারবে। তোমাদের চাকরি মিস হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পাশাপাশি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বিক্ষোভকারী ইলিয়াস হোসেন কথোপকথনের বিষয়ে বলেছেন, ভিসির সঙ্গে আমাদের এমন কোনো কথা হয়নি।