সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আর কোন অভিযোগ থাকবে না

শিক্ষার্থীদের কোন অভিযোগ রাখতে চায় না ঢাবি, সমাধানের আশ্বাস
সাত কলেজের নতুন প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এ এস এস মাকসুদ কামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের আর কোন অভিযোগ রাখতে চায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সাত কলেজের নতুন প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নিয়ে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এস মাকসুদ কামাল।

নতুন প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব নেয়ার পর আজ শনিবার রাতে সাত কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি এ সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে। অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে এসব কলেজের শিক্ষার গুণগত মানে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সবখাতেই একটা বাধার সৃষ্টি হয়েছে। সাত কলেজও এর বাইরে নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকাকালীন এসব কলেজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল সেশন জটিলতা। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের অধীনে আসার পর থেকে বিশেষ করে ২০১৭-১৮ সেশন থেকে এ জটিলতার সমাধান হতে শুরু করেছে। আমরা এভাবেই ধরে ধরে সাত কলেজের সব সমস্যা সমাধানে কাজ করবো।

এর আগে গত সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নির্দেশনায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহলুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অধ্যাপক ড. এ এস এস মাকসুদ কামালকে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের নতুন প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়।

অধ্যাপক মাকসুদ কামালের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মতামত প্রকাশের রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের আর কোন অভিযোগ রাখতে চাই না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরাও যেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় সফল হতে পারে সেভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করা হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন হলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাস্তবায়ন হবে।