বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৯৫ শিক্ষার্থী

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত রবিবার (১০ জানুয়ারি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে ভৌতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই তিন ক্যাটাগরি এবং নবায়ন গ্রুপসহ ফেলোশিপ পাচ্ছেন ৩ হাজার ৩০৫ জন শিক্ষার্থী । তন্মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ জন, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২২ জন, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৩৬ জন এবং নবায়নসহ পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ১ জন সহ মোট ৯৫ জন শিক্ষার্থী এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিতদের মাঝে স্নাতকোত্তরের প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক ৩ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।

ভৌত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে রসায়ন বিভাগ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হচ্ছেন, হোমায়রা বেগম, মিজানুর রহমান, রায়হানুর ইসলাম, মো. ফাহামিদুল ইসলাম, বিউটি দেব, মোছা. শারমিন আক্তার ইভা, গৌতম দেবনাথ, সামিয়া ইসলাম, অনিম দত্ত, জাহিদুল হক, সোহানা ইসলাম ডানা, মহিবুল আহসান, মো. রাকিবুল হাসান রায়হান, কাবেরী রাণী সরকার, সানজিদা হোসেন ও সুপ্রিয় শর্মা।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হলেন, বিজরী তালুকদার, মো. গোলাম মুনতাসির আলম, মাহি আহমেদ, সোহেল খান, সামিউল হোসেন সজল, অনিক আচার্য্য, পার্থ প্রতীম নাথ, সুহৃদ সাহা প্রান্ত ও মাসুদা রহমান শিপ্রা।

পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- রুহুল আমিন ও মো. সাব্বির হোসেন।

জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হলেন, তানিয়া সুলতানা, প্রিয়াঙ্কা ঘোষ, মনিসা তাসনিম, অর্ণব মজুমদার, মো. সানোয়ার হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম। ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে নৌশিন রিফাত, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগ থেকে মো. রোকনুজ্জামান রানা ও ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে মো. বেলাল এই ফেলোশিপ পাচ্ছেন।

জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হলেন, সানজিদা আক্তার, পাপিয়া রহমান, ফিরোজ মাহমুদ, রঞ্জন চন্দ্র পাল, মো. নেওয়াজ শরীফ, হুমাইরা রশিদ তুবা, জিতু বর্মণ, মিনা সামিউর রহমান, মো. জাহিদ হাসান, পাপন চন্দ্র পাল, মো. আহসান হাবীব, আরিফুর রহমান, নিশাত তামান্না, শামীমা খানম, জান্নাতুল মাহমুদা ও মো. জাকারিয়া। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- আনিকা তাসনিম চৌধুরী, মো. তৌফিকুল ইসলাম, আফরোজা আক্তার স্বর্ণা, সানজানা ফাতেমা চৌধুরী, তাসনিমা আলম এশা, নাফিসা নুসরাত চৌধুরী, শ্রাবণী আক্তার ইভা, মো. তাহসিন খান, দিদারুল হায়দার সানী, নাবিল দেবনাখ, মো. ইবরাহীম, সালমান আহমেদ, রাহাতুল ইসলাম, আরাফ মাহমুদ, মুমতাহিন আহমেদ, সাহারা খাতুন, মো. মশিউর রহমান ও সৃজন ঘোষ।

এছাড়াও ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে তাহাসিনা চৌধুরী ও মো. মাহবুব হাসান এই ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্তরা হলেন, অঙ্গনা কুরি, ফাহমিদা নিজাম, সুলতান মাহমুদ, এইচএএম ফাহিম, দিপালী রাণী দাস, আয়েশা, আরিফুল খান, সাদিয়া হোসেন ইরা, মো. হাইয়ুল মুমতাহিন, সুমিত চৌধুরী, উম্মে হানি হক, মেহেদী হাসান লিমন, মো. হালিমুর রশিদ, তাসনিমা মুকিত, মোহাম্মদ রমজান আলী, সোহাগ আহম্মেদ, রণি সরকার ও মো. শাহরিয়ার আলম। ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগ থেকে পাচ্ছেন- কেয়া রানী রায় ও শুভ্র তালুকদার।

এছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে মো. কামরুল ইসলাম ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে মো. সিফাতুল ইসলাম মনোনীত হয়েছেন। নবায়নকৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র একই ক্যাটাগরিতে থেকে রয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বকুল কুমার চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি এবং পোস্ট-ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।