ঢাবি প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করল প্রগতিশীল ছাত্রজোট

দাবি
কুশপুত্তলিকা করছেন নেতাকর্মীরা

শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পরীক্ষা গ্রহণসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। ঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে (ভিসি চত্বর) এ কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির অন্য দুইটি দাবি হলো করোনাকালীন বেতন-ফি মওকুফ করা এবং টিএসসির বর্তমান অবকাঠামো না ভাঙা।

জোটের সমন্বয়ক সোহাইল আহমেদ শুভর সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভপতি সাদেকুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদসহ জোটের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এর আগে একটি প্রতিবাদ মিছিল টিএসসি থেকে শুরু হয়ে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করোনার এই সময়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক। এই অর্থব প্রশাসনকে আমরা ধিক্কার জানাই। করোনাকালীন অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এর মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ভর্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। এটি তাদের জন্য মরার উপর খঁড়ার ঘা হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।  তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, করোনাকালীন সকল বেতন-ফি মওকুফ করতে হবে।

তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ  আধুনিকতার নামে টিএসসিকে ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে তারা টিএসসির জনপরিসরকে সংকুচিত করে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে নষ্ট করতে চায়। মত বিনিময় ও চর্চার জায়গাগুলোকে ধ্বংস করতে চায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়ে তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এই ৩ দফা মেনে নিয়ে শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তৎপর হোন। না হলে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের দাবিতে এবং টিএসসি’র অস্তিত্ব-ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তুলবে।