লটারির মাধ্যমে আগামীতে স্কুল ভর্তি— ইঙ্গিত শিক্ষা সচিবের

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার স্কুল ভর্তিতে পরীক্ষা না নিয়ে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে আগামীতে এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে কিনা সেটি নিশ্চিত না হলেও ‘পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে’ স্কুল ভর্তির বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহমুব হোসেন। তার মতে, এ প্রক্রিয়ার অনিয়ম এবং বিশেষ বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

শিক্ষা সচিব বলেন, করোনার কারণে এবার স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“আমি মনে করি করোনা মধ্যে এটাকে একটি সুযোগ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটালি এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে করা হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়াটি অটোমোটিক এবং এতে হাতের কোন ছোঁয়া নেই। নেই কোন অনিয়ম। এখানে বিশেষ বিবেচনারও কোনো সুযোগ নেই। যেসব শর্ত দিয়েছে তা মিল রেখে ভর্তি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।”

“আশা করছি যদি আগামীতে এটাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ করতে পারি তাহলে ভর্তি নিয়ে মাঝে মাঝে যে অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা তৈরি হয় সেটি আর হবে না। এই প্রক্রিয়াটি আমরা এবার শুরু করলাম। আপনারা জানেন অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রক্রিয়া চালু আছে এবং আগামীতে হবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এক কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষণ-শিখন কাজ থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য আমরা সংসদ টিভির মাধ্যমে দূর শিক্ষণ, অনলাইন পাঠদান এবং এসাইনমেন্টভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি যা খুবই সফল ও প্রশংসিত হয়েছে বলে মাঠ পর্যায় থেকে জানতে পেরেছি। স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি সেহেতু সরকারিভাবে আমরা এ বছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।