আমাকে মেরে ফেলতে পারে: কাদের মির্জার অভিযোগ

আবদুল কাদের মির্জা
আবদুল কাদের মির্জা

নিজের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, চারদিকে বারুদের গন্ধ, অস্ত্র তাক করে রেখেছে। আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমাকে মেরে ফেললে আপনারা জানাজা পড়ে মাটি দিয়ে আসবেন।

আজ শুক্রবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি দলীয় নেতাদের নানা অনিয়ম নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হয়েছেন তিনি।

কাদের মির্জা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি এ বাঙালি জাতির জন্য ৩০ বছর আন্দোলন করেছেন, ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন, ৩ বার ফাঁসির কাস্টে গিয়ে বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। সেই নেতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা যে যে দল করেন, শেখ হাসিনাকে অপছন্দ করেন, আওয়ামী লীগকে ও অপছন্দ করেন সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করবেন, না হলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বিশ্বে দরবারে পরিচিতি পাবো।

গত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা বলেন, অতি উৎসাহী প্রশাসনের লোকজন গাছসহ নেত্রীকে দিয়েছেন। এতে নেত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বেশি উড়তেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। শেখ হাসিনা ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ভোটের অধিকার এখনও নিশ্চিত হয় নাই। আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব, আপনি সিদ্ধান্ত নিন, মাদক ও নারী কেলেংকারীর সাথে আওয়ামী লীগের কোন নেতা থাকতে পারবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার মাইজদী ও ফেনীর ষড়যন্ত্রকারীরা ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি, জামায়াত আমার পোস্টার ছিঁড়ে নাই। আমি আবারও বলছি, বৃহত্তর নোয়াখালীতে সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে আওয়ামী লীগ ৩-৪টি আসন পাবে। বাকি আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা হেরে যাবে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না, আমাকে এ কথাগুলো বলতে হবে, না বললে তারা সংশোধন হবে না।

নিজের এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর ও হাবিবপুর থেকে সাড়ে সাত বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। তিন মাস পর আমরা গ্যাস না পেলে শাহজাদপুর ও হাবিবপুরে গিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দেব। আমি প্রথমে আমার কোম্পানীগঞ্জের স্বার্থ দেখব, বাকিটা পরে দেখা যাবে।