পাকিস্তানি এজেন্টরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে: মুহিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পাকিস্তানি এজেন্টরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকারীরা হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরও পাকিস্তান ও লিবিয়ার সমর্থন পেয়েছে। জাতির জন্য এর চেয়ে বড় কলঙ্কজনক অধ্যায় আর কিছু নেই।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শুরু হওয়া ‘বঙ্গবন্ধু’ লেকচার সিরিজের প্রথম লেকচারে মূল বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা এসব কথা বলেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জন্য নন; গোটা বিশ্বের জন্যই এক বিশাল ব্যক্তিত্ব। একদম শূন্য থেকে একটি জাতি তৈরি করার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধুই দেখিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম নাম দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশ’। এরপর পুরো দেশ ঘুরে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতিকে সম্পৃক্ত করেছেন।

মুহিত বলেন, জাতির পিতা একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি কী হবে, সেটাও নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে তার সংস্কৃৃতি ও ভাষার ওপর ভিত্তি করে গড়তে চেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে স্ব্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সফল হয়েছেন এবং স্ব্বাধীন যে চারটি মূল ভিত্তি, সেটা বঙ্গবন্ধুই ঠিক করে দিয়েছেন। সময়ের বিবেচনায় এই চারটি মূলনীতি নির্ধারণই প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী চিন্তাকে।

বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের কথা স্মরণ করে মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের উৎপাদন মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার আগে যে পরিমাণ ছিল, তার কাছাকাছি নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। এটা শুধু বঙ্গবন্ধুই পেরেছিলেন। এত কম সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের এ ধরনের সাফল্যের ইতিহাস আর নেই। এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু সংবিধানসহ ৫১৯টি নতুন আইন করেছেন এবং এর মধ্যে মেরিটাইম আইনটি ছিল সুদূরপ্রসারী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই বিশ্বাস করতেন না- বাংলাদেশের কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। এ কারণেই তিনি ১৫ আগস্ট রাতে বাইরের আওয়াজ শুনে ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন। তখন তাকে খুনি নূর চৌধুরী গুলি করে এবং তিনি লুটিয়ে পড়েন। এই নূর চৌধুরী বর্তমানে কানাডায় আছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ১৯৫৩ সালে তার সঙ্গে প্রথম বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ হয়। এটিই ছিল তার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত।