স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন সংবাদ সম্মেলনে
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিন সংবাদ সম্মেলনে

স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ট যশোরে এক বিশ্ববিদ্যলয় শিক্ষিকা ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সোমবার( ২৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই কামনা করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি যশোর আদালতে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা ফারজানা নাসরিন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মাসুদ রানা একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বিচারকাজে প্রভাব খাটাচ্ছেন। এজন্য পক্ষপাতমূলক বিচার হতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।’

ফারজানা নাসরিন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাসুদ রানা রাজধানীতে প্লট কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন। না দেয়ায় ফারজানার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। বাধ্য হয়ে মাসুদ রানাকে ফারজানার বাবা পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিছুদিন পর ফের আরো পাঁচ লাখ টাকার জন্য নির্যাতন শুরু হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফারজানা নাসরিন যশোরে তার বাবার বাড়ি ফিরে যশোরের আমলী আদালতে (সদর) যৌতুক আইনে মামলা করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বলেন, ‘মামলা করার চারদিন পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানা তার বোন রানী ও বোনাই জিয়াউর রহমানকে সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসেন। আপসের জন্য যশোরে আসলেও তারা আমার বাবার বাড়িতেই যৌতুকের দাবিতে মারধর করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে মামলার বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। কিন্তু বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে না। উল্টো আমাকেই হয়রানির শিকার হতে চচ্ছে। মাসুদ রানা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়ায় তিনি প্রভাব বিস্তার করছেন বলে আমার আশঙ্কা। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’