চবির ভবন নির্মাণ, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জি কে শামীম

জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি নেওয়ার অভিযোগে জি কে শামীমসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।

এই মামলার দুই আসামি হলেন- জি কে বি এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীম এবং দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম চৌধুরী।

৭৫ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের কাজ নিতে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স- জি কে বি এল (জেভি) ‘প্রতারণা ও জালিয়াতির’ আশ্রয় নিয়েছিল বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

মামলার বাদি দুদকের সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, চবির ষষ্ঠ একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ পেতে দরপত্রের সাথে যে কাগজপত্র দিয়েছিল সেখানে জালিয়াতি করা হয়েছে। কোম্পানি সংক্রান্ত তথ্যও পাল্টানো হয়েছে।

সর্বনিম্ন দরদাতা হয়ে চবির ষষ্ঠ একাডেমিক ভবনের (দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ) নির্মাণকাজ পায় দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স- জি কে বি এল (জেভি)। 

চার বছর পেরিয়ে ওই প্রকল্পের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে তাদের ৩৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলেও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

দুদকের করা মামলায় বলা হয়- প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোম্পানির প্রকৃত নিবন্ধিত নামের সাথে একক মালিকানাধীন ফার্মের নাম যুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে এবং নিবন্ধিত শেয়ারের চেয়ে বেশি সংখ্যার শেয়ার দেখিয়ে দরপত্র জমা দেয়া হয়। 

কাজ পেতে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা, বিগত পাঁচ বছরের বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষের সনদ এবং অতীতের টার্নওভারের যে শর্ত দেয়া হয়েছিল সেগুলোর ক্ষেত্রেও বানানো কাগজপত্র জমা দেয়া হয় বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।  

যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর-১ এ সংশ্লিষ্ট কাগজ যাচাইয়ের জন্য পাঠায় দুদক। সেখান থেকে এসব জালিয়াতির তথ্য নিশ্চিত হয় তারা।