রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসায় কাজ করছেন সামি

ফারহান সাদিক খান সামি
ফারহান সাদিক খান সামি

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাত মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে কাজ করা শিশু শিক্ষার্থী ফারহান সাদিক খান সামির কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। স্রেফ বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসায় সে গত দুই বছর যাবৎ রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ, অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। সামি জানিয়েছে, ‘মানুষ না বুঝেই ফেসবুকে তাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করছে।’

শনিবার এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে সামি জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমাকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত আমি, তবে যারা সমালোচনা করছেন তারা না বুঝে করছেন। কারণ আমি আমার জন্য দাবিটি করিনি; আমার মত শিশুরা যেন ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানতে পারে সেজন্যই আমি দাবিটি করেছি।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সামি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ কিংবা তার অংশ বিশেষ প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই কর্মসূচি পালন করবে সে। এর আগে সামি একই দাবিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করে এবং বিভিন্নস্থানে লিফলেট বিতরণ করে।

সর্বশেষ গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) একই দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আলোচনায় আসে সে। সামি জানায়, আমি মানিকগঞ্জ থেকে জাতীয় প্রেসবক্লাবে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। মূলত এটি নিয়েই মানুষ অনেক বেশি সমালোচনা করছে। আমি কোন ভুল কিছু করিনি। একটা যৌক্তিক দাবি করেছি।

বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, তার ভাষণের গুরুত্ব এবং শিক্ষার্থীদের শিশুকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগের জন্য তিনি এ আবেদন করে আসছেন। তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই জানিয়ে সামি জানায়, আমার কোন রাজনৈতি পরিচয় নেই। ভবিষ্যতে বড় হয়েও আমার রাজনৈতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার কোন ইচ্ছে নেই। আমি একটাই চাই, সেটি হলো- আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বড় হতে চাই।

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার খাসের চর আলিম মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক আমিরুল ইসলাম খানের ছেলে ফারহান সাদিক খান সামি প্রথম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ মুখস্ত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সবাইকে। একে একে সে জাতির জনকের ছয়টি ভাষণ মুখস্ত করে করেছে সে।

সামি জানায়, ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর অনেক ভাষণ শিখেছি। এ ভাষণ নিজে শেখার পর থেকে অন্য শিশুদের শেখার জন্য এটি পাঠ্যবইয়ে অন্তুর্ভুক্তির কাজ করে যাচ্ছি। এ কাজে আমি মানুষের অনেক সাপোর্ট পাই। আমি বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পরিবেশনও করেছি। আমার কাজের জন্য মানুষ আমাকে অনেকে স্নেহ করে। এসব ভালোবাসায় অনেক মানুষ আমাকে ছোট মুজিব হিসাবে গ্রহণ করে। আমি বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর মত একজন আদর্শ মানুষ হতে চাই।