ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতার পদত্যাগ

ছাত্র অধিকার পরিষদের লোগো
ছাত্র অধিকার পরিষদের লোগো

কোটা আন্দোলন থেকে পরিচিতি পাওয়া সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাঁশেদ খান, ফারুকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আধিপত্য, ত্রাণের অর্থ নিয়ে অনিয়ম, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগসহ নানা ধরণের অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিভিন্ন কমিটির নেতারা।

এর ধারাবাহিকতায় এবার পদত্যাগ করেছেন সংগঠনের খুলনা জেলা ও মহানগর পরিষদের চার নেতা। নুরসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটির চার নেতা পদত্যাগ করেছে।

তারা হলেন, খুলনা জেলা শাখার সহ সভাপতি নিশাত তাসনিম, খুলনা মহানগরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ, অর্থ সম্পাদক শান্ত আহমেদ এবং খুলনা মহানগরে সদ্য ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত গাজী আরিফ।

এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদকে গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত করতে যারা কথা বলে তাদেরকে অহেতুক বহিষ্কার করা হয় দাবি করে পদত্যাগ করেছেন খুলনা জেলা সহ-সভাপতি নিশাত তাসনিম বলেন।

aHR0cHM6Ly93d3cuZGFpbHlqYW5ha2FudGhhLmNvbS9jbG91ZC11cGxvYWRzL2RlZmF1bHQvYXJ0aWNsZS1pbWFnZXMvMjAyMDExLzE2MDU5NTI1OTVfNDEuanBn

গত ১৯ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু হতে দেশ ও জাতির কল্যাণের নিমিত্তে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের সাথে তার দলে কাজ করে আসছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্র অধিকার পরিষদ, খুলনা জেলা শাখায় সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করি। কিন্তু সংগঠনের অভ্যন্তরীণ চরম বিশৃঙ্খলা, স্বৈরাচারী মনােভাব ও আরাে সংবেদনশীল কিছু বিষয় প্রত্যক্ষভাবে জানার পরে আমি চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। 

তবে, সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগের অভিযোগে বিভিন্ন কারণে তারা পদ থেকে অব্যাহতি নিতে  বাধ্য হয়েছেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির মধ্যে ইতোমধ্যে বিভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আসামী করা হয় সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন এবং নুরুল হক নুরসহ আরও কয়েকজন নেতাকে।

এর পর সংগঠনের মধ্যে বিভক্তি সামনে চলে আসে। সর্বশেষ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এপিএম সুহেল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে (ছাত্র অধিকার পরিষদের আগের নাম) আরেকটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে। এর পর দুটি সংগঠন পাল্টাপাল্টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে একে অপরের বিরুদ্ধে। এরপর খুলনা মহানগরের নেতৃত্ববৃন্দও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করে।