নাস্তিকদের কবর রচনার জন্য হেফাজতের অভ্যুদয়: বাবুনগরী

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

যারা ইসলামের শত্রু, রাসূল (সা.)-এর দুশমন তাদের কবর রচনার জন্য, নাস্তিক-মুর্তাদদের কবর রচনার জন্য হেফাজতে ইসলামের অভ্যুদয় বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত আমির, শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। আজ শনিবার বিকেল সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সমস্ত মসজিদের মুসল্লিরা হেফাজতের সদস্য, সকল মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ হেফাজতের সদস্য। সকল স্কুল-কলেজের ধর্মপ্রাণ মানুষ হেফাজতের সদস্য। নামাজ, রোজা, হজ-যাকাত হলো হেফাজতের কর্মসূচি। হেফাজত বাংলাদেশে নামাজ কায়েম করতে চায়।

তিনি বলেন, হেফাজত সরকারবিরোধী সংগঠন নয়, আবার সরকার দলীয় সংগঠনও নয়। বিশ্বের দু’শত কোটি মুসলমানের ভালোবাসার প্রতীক রাসূল (সা.)-এর বিরুদ্ধে ফ্রান্স সরকার ব্যঙ্গ করে, কটাক্ষ করে মুসলমানদের কলিজায় আগুন লাগিয়েছে। রাসূলের অপমানের মোকাবেলায় রক্ত সাগর ভাসিয়ে দেবে।

সমাবেশে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, আমি মনে করি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও কাদিয়ানীদের মুসলিম বলে মনে করেন না। কাদিয়ানীরা অন্য সংখ্যালঘুদের ন্যায় নিজেদের ধর্ম পরিচয়ে এ দেশে বাস করুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এই কাদিয়ানীরাই বিশ্ব নবীর বড় শত্রু।

বাবুনগরী বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী এদেশ মদিনা সনদে চলবে। অন্য কোনো সনদে চলবে না। তাই মদিনা সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কাজ শক্তভাবে দমন করতে হবে।

ফ্রান্সে মহানবীর (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা নূর হুসেইন কাসেমী, আল্লামা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।