৭ ব্যাংকের পরীক্ষার অনুমতি এখনও মেলেনি

পরীক্ষা
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি

আগামী ৫ ডিসেম্বর সমন্বিত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি)। তবে ওই দিন পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে এখনো সরকারের অনুমতি পায়নি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। ফলে নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসসি’র সদস্য সচিব আরিফ হোসেন খান। তিনি বলেন, আমরা আগামী ৫ ডিসেম্বর ৭টি সরকারি ব্যাংকের পরীক্ষা আয়োজনে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। তবে এখনো আমাদের অনুমতি দেয়া হয়নি।

সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৭টি ব্যাংকের পরীক্ষায় প্রায় দেড় লাখ প্রার্থী পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াতের ফলে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কা থেকেই এখনো এই পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গতকাল (শুক্রবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র ইভিনিংয়ের ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে সেটি স্থগিত করা হয়। সেখানে মাত্র ৮-১০ হাজার প্রার্থী ছিল। এত অল্প সংখ্যক প্রার্থীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি। আর ৭টি ব্যাংকে পরীক্ষা দেবে ১ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী। ফলে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা আয়োজনে অনুমতি দেয়াটা ঠিক হবে না। কেননা দেশে শীতের আগমন শুরু হওয়ায় সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থায় বিতর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না।

এ প্রসঙ্গে আরিফ হোসেন খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গত মার্চে আমাদের এই পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে দীর্ঘ ৮ মাস ধরে পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এখন যদি আবার পেছানো হয় তাহলে হয়তো আগামী মার্চ কিংবা এপ্রিলের আগে আর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য আমরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পরীক্ষা নিতে চাই। কেননা আমাদের প্রার্থীরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন।

সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটি মেনেই কাজ করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার্থীদের ক্ষিতি হোক এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিবো না। আমরা পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। সরকার আমাদের যেভাবে দিক নির্দেশনা দেবে আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করবো বলেও জানান তিনি।

এদিকে বিএসসি’র পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমাদের পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৬৫টি থেকে ৬৭টি কেন্দ্র ঠিক করে রাখা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে একটি বেঞ্চে এক থেকে দু’জনকে বসানো হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে কোনো অজুহাত শোনা হবে না।