তাবলীগের নামে জঙ্গি তৎপরতা, পিস্তল-জিহাদি বই উদ্ধার

ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে চারজনের আত্মসমর্পণ ও অস্ত্র উদ্ধার
ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে চারজনের আত্মসমর্পণ ও অস্ত্র উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার উকিলপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। অভিযানে ৪ জেএমবি সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। এ ছাড়া এ সময় দুটি পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জিহাদি বইসহ প্রশিক্ষণের নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে ওই বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

র‌্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল মোস্তফা জানান, আমাদের গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছিল। তাদের আঞ্চলিক কমান্ডার মাহমুদসহ ৪ জনকে গতরাতে রাজশাহীর শাহ মখদুম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়। তারা সেখানে মাসিক সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে আমরা এই বাড়িটি শনাক্ত করি। এরপর বাড়িটি ঘেরাও করে রাখি।

তিনি জানান, আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ৪-৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এরপর আমরা তাদের মাইকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানাই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চার জঙ্গি বেড়িয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। এরা মূলত জেএমবি সদস্য। ২০-২৫ দিন আগে এখানে বাসা ভাড়া নেয়, তাবলীগের ছদ্মবেশে তারা প্রচারণা করেন। তাদের পরিকল্পনা ছিল এখানে তাবলীগের বেশে দাওয়াত কার্যক্রম ও চাঁদা আদায় ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে বাসাটা ত্যাগ করবেন।

আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিরা হলেন, জেএমবি পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কিরণ ওরফে শামীম ওরফে হামীম, পাবনার সাঁথিয়ার নাঈমুল ইসলাম, দিনাজপুরের আতিউর রহমান ওরফে কলম সৈনিক ও সাতক্ষীরার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্ত। অভিযানে দুটি পিস্তল, জিহাদি বই, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব-১২ এর এএসপি মহিউদ্দিন মিরাজ জানান, শিক্ষক ফজলুল হকের বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে একজন নারী ভাড়াটিয়া বসবাস করছিল। হঠাৎ গত কয়েক মাস আগে বগুড়া থকে ২ জন অপরিচিত লোক এখান এসে বসবাস শুরু করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় র‍্যাব শুক্রবার ভোর রাতে পুরো উকিলপাড়া ঘিরে ফেলে।