ধর্ষণের পর সাততলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় মেয়েটিকে

ধর্ষণ
মোহন

রাজধানীর দক্ষিণখানে তামান্না ময়না (১৫) নামে শিশু গৃহকর্মীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা এবং লাশ সাত তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে হত্যা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই বাসার নিরাপত্তারক্ষী মোহন (২০)।

এর আগে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মোহনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত কতরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজিয়া খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ময়নাকে ধর্ষণের পর ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনা আদালতে স্বীকার করেছে মোহন। ধর্ষণের কথা সবাইকে বলে দেবে, এই ভয়ে মোহন মেয়েটির গলায় থাকা ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর দক্ষিণখানে সাততলা ভবনের ছাদে তামান্না ময়না (১৫) নামে শিশু গৃহকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পাশের ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশের গলায় দাগ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঁচড়ের চিহ্ন দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়- হত্যার আগে খুনির সঙ্গে নিহতের ধস্তাধস্তি হয়েছে। এর পরই মুখে নখের আঁচড় দেখে খুনিকে চিহ্নিত করা হয়। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত দারোয়ান মোহন শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে মোহন কারাগারে রয়েছে।